Scary Religious Places In India: দেশের এই ৯ ধর্মীয় স্থানে ভুলেও নয়! শিরদাঁড়া দিয়ে নামবে শীতল স্রোত...
তালিকায় সবার আগে রাজস্থানের দৌসা জেলায় অবস্থিত মহেন্দিপুর বালাজি মন্দির। এখানে ভক্তরা হয় নিজের গায়ে ফুটন্ত জল ঢেলে প্রায়শ্চিত্ত করেন, নয় দেওয়ালে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। কালোজাদুর জন্য কুখ্যাত এই মন্দিরের চারপাশে প্রচুর অশুভ আত্মার বিচরণ বলেই মানুষের বিশ্বাস। এক্সরসিজমের প্র্যাকটিস এখানে অত্য়ন্ত চর্চিত।
গুজরাতের ইউনিভা গ্রামে দুর্গের মতো কাঠামোতে অবস্থিত এই মন্দির। এই দরগায় যুগে যুগে মানসিকভাবে আক্রান্ত, বা কিছু লোকের মতে অশুভ আত্মার পাল্লায় পড়া মহিলারা আসেন। লোকেরা এখানে আসেই অশুভ আত্মাদের তাড়াতে। এখানে অনেক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। ধর্ম-জাতি নির্বিশেষে এই দরগা সকলকে স্বাগত জানায়।
গুজরাতের কাস্থভঞ্জন দেব হনুমানজি মন্দিরে, ভক্তরা হনুমানজিকে যেমন প্রণাম জানাতে আসেন। তেমনই অশুভ আত্মাদের তাড়াতে আস। বলা হয় যে জায়গাটি মানুষের ভূতমুক্তি কেন্দ্র।
মধ্য়প্রদেশের দেবী মহারাজ মন্দিরেরও নাম উঠে এসেছে বারবার। মানুষ এখানে অশুভ আত্মা থেকে মুক্তি পেতে তাদের হাতের তালুতে কর্পূর জ্বালায়। পূর্ণিমার রাতে মানুষ আত্মা থেকে মুক্তি পেতে এই মন্দিরে আসেন। পবিত্র ঝাড়ু হাতে লোকের দৌড় দেখা যায় এখানে। মন্দিরে প্রতি বছর একটি ভূতমেলা হয়। সেখানে অদ্ভুত কিছু ঘটনা ঘটে।
কর্ণাটকের গঙ্গাপুর গ্রামে রয়েছে দত্তাত্রেয়া মন্দির। এক অদ্ভুত মন্দির। এখানে এসে মানুষ নিজেদের ছাদে ঝুলিয়ে দেয়। এরপর ভগবানকে গালিগালাজ করে। অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার সময় মানুষ এখানে আসেন এবং সবাই একত্রিত হয়ে 'মহামঙ্গল আরতি' করেন। সকাল সাড়ে এগারোটায় শুরু। মানুষ বিশ্বাস করেন যে, তাঁদের মধ্য়ে অশুভ আত্মা বিরাজ করছে বলেই, তারা ভগবানকে গালাগালি করেন।
নয়াদিল্লির নিজামুদ্দিনের পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে বিখ্য়াত নিজামুদ্দিন দরগা। প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার দর্শনার্থী ও ট্য়ুরিস্টদের ভিড় লেগে থাকে এখানে। মনে করা হয় যে, এই দরগারই এক ঘরে এক্সরসিজমের প্র্যাকটিস হয়। অশুভ শক্তিকে দূর করাতেই এই ঘরকে রাখা হয় আলাদা। এখান থেকে বহু মানুষের চিৎকার শোনা যায়।
হরিদ্বারের চণ্ডী দেবী মন্দিরে নবরাত্রির সময় মানুষ অন্য় রূপ ধারণ করে। চণ্ডী দেবীকে দেবীর হিংস্র রূপগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং এই মন্দিরটি ভূত-প্রেত এবং মন্দ আত্মাদের পরিত্রাণের স্থান। আসলে, নবরাত্রির সময়, দেবীর উপস্থিতি এত বেশি থাকে বলেই মানুষ তা নিতে পারে না।
উত্তরপ্রদেশ-বিহার সীমান্তে রয়েছে হরসু ব্রহ্ম মন্দির। অশুভ আত্মার হাত থেকে রেহাই পেতেই মানুষ এই মন্দিরে আসেন। এক হতাশ ব্রাহ্মণের আত্মার বাড়ি বলে মনে করা হয় এই মন্দিরকে। যিনি চেয়েছিলেন মানুষ তার পুজো করুক। এটা বলা হয় যে লোকেরা এখানে বাজে আত্মা, বা রাক্ষস, যে নামে আপনি ডাকেন, তার হাত থেকে মুক্তি পেতে আসে।
চৈনপুর হল ভারতের উত্তর-পূর্ব ভারতের বিহার রাজ্যের সহরসা জেলার বৃহত্তম গ্রামগুলির মধ্যে একটি। এখানেই রয়েছে সন্ত সাবির শাহ দরগা। এখানেও মানুষ দেওয়ালে শিকল দিয়ে নিজেকে বেঁধে রাখেন। অশুভ আত্মার হাত থেকে রেহাই পেতেই মূলত মানুষ আসেন। এটি একটি ভীতিকর এবং অস্বস্তিকর জায়গা, এই মন্দির অতৃপ্ত আত্মার নিয়ন্ত্রণে বলেই মনে করেন অনেকে। এখানে মহিলার অন্য জাগতিক অবস্থার মধ্য়ে দিয়েই প্রার্থনা করছেন।