সংক্রমণের মাত্রা অনুযায়ী এবার রেড-অরেঞ্জ-গ্রিন জোনে ভাগ করে নজরদারি রাজ্যে
গোটা দেশে লকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায় শেষ হচ্ছে ৩ মে। কিন্তু সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে সেরকম কোনও আভাস পাওয়া গেল না। বরং লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সংক্রমণের মাত্রা দেখে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে কেন্দ্র।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে মনে হল লকডাউন চলবে। রাজ্য সরকার ২১ মে পর্যন্ত লকডাউনের পক্ষপাতী। তবে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হবে।
এরকম এক অবস্থায় করোনা সংক্রমণের ওপরে ভিত্তি করে রাজ্যকে তিনটি জোনে ভাগ করেছে রাজ্য সরকার। এগুলি হল রেড জোন, অরেঞ্জ জোন ও গ্রিন জোন। সেইসব জোনের নামও ঘোষণা করে দিল রাজ্য সরকার।
রাজ্যের ৪ জেলা রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। এগুলি হল কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর। মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য, কোন এলাকা রেড জোনের মধ্যে পড়ছে তা সাধারণ মানুষ জানলে আরও সতর্ক হতে পারবেন। এই এলাকার কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না।
অরেঞ্জ জোনের মধ্যে রাখা হয়েছে ১১ জেলাকে। এগুলি হল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, কালিম্পং, নদিয়া, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, মুর্শিদাবাদ, মালদা।
গ্রিন জোনের মধ্যে রাখা হয়েছে ৮ জেলাকে। এগুলি হল আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২১ দিন যেসব এলাকা কোনও সংক্রমণ হয়নি সেগুলিকে গ্রিন জোনের মধ্যে রাখা হচ্ছে।