শুধু ফসল ধ্বংস নয়, ক্ষেতেই অগুনতি ডিম পেড়ে যায় পঙ্গপাল
পঙ্গপালের বড় সোয়ার্ম বা ঝাঁকের হানার ফলে নিমেষে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে কোনও এলাকার কৃষি উত্পাদন। এক ঝাঁক পঙ্গপাল দিনে প্রায় ৩৫,০০০ মানুষের সমান ফসল নষ্ট করতে পারে। ১ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত ঝাঁক দিনে প্রায় ১০০-২০০ কিলোমিটার উড়তে পারে। তবে শুধু তাই নয়,
যে স্থানে ফসলের ক্ষেতে হানা দেয়, সেখানে অসংখ্য পরিমাণে ডিম পেড়ে যায় পঙ্গপাল। বিশেষজ্ঞদের মতে কয়েক লক্ষ পঙ্গপালের জমিতে পুঁতে যাওয়া ডিম নষ্ট করা কার্যত অসম্ভব।
স্ত্রী পঙ্গপাল তার পেছনের দুই লম্বা পা দিয়ে মাটিতে গর্ত করে শরীরের টিউবের মতো অংশ দিয়ে ডিম পাড়ে। সেই ডিম ঘেরা থাকে সাদা থকথকে ফোমে। অল্প সময়েই সেই ফোম বা ফেনা খুব শক্ত হয়ে যায়। এই সাদা দেওয়াল পঙ্গপালের ডিমকে অন্যান্য পোকা, জল ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে। বহুদিন ভালও থাকতে পারে ডিম।
কোনও একটি স্থানে একটি স্ত্রী পঙ্গপাল ডিম পাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে যে গন্ধ নিঃসরণ হয় তা লক্ষ করে আরও হাজার হাজার পঙ্গপাল আশেপাশে ডিম পাড়তে থাকে। 'সংখ্যায় বেশি থাকলে অপ্রতিরোধ্য' প্রকৃতির এই নিয়ম মেনে ডিম পাড়ে পঙ্গপাল।
প্রাথমিক পর্যায়ে উচ্চিংড়ের মতো ওড়ার ক্ষমতাহীন থাকলেও এই সময়েই ক্ষেতের ফসল খেয়ে ওজন বাড়াতে শুরু করে পঙ্গপাল। এই পর্যায়ে বেশ কিছুদিন ধরে ওজন বাড়ানোর পর উড়তে শুরু করে এই পতঙ্গ।