পশ্চিমবঙ্গে উর্দু চালু করতে চাইছেন মমতা, রায়গঞ্জে অমিত শাহ
নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে দলীয় প্রার্থীর প্রচারে গিয়ে বাংলা ভাষার আবেগ উস্কে নিশানা করলেন অমিত শাহ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, রাজেশ ও তাপসের দোষ ছিল তারা উর্দুতে নয়, বাংলায় পড়তে চেয়েছিলেন। কী ভাষায় পড়তে চান আপনারা? সভা থেকে সমস্বরে আওয়াজ আসে, বাংলা। অমিতের অভিযোগ, গোটা বাংলায় উর্দু চাপিয়ে দিতে চান মমতা।
মমতা দিদি যত অত্যাচার করার করে নিন, ২৬ মে মৃত্যুঘণ্টা বাজবে। ২৩টি আসন বিজেপি জেতার পর আপনার দিন শেষ হবে। আজ রায়গঞ্জে এসেছি। এখানে তুলাইপাঞ্জি চাল বিশ্বজুড়ে প্রসিদ্ধ। কিন্তু বর্তমানে বাংলার শিল্প ধ্বংস করে দিয়েছেন মমতা।
মে মাসে পুরো দেশে নির্বাচন হতে চলেছে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাট থেকে কলকাতায় ঘুরে এসেছি, যেখানেই গিয়েছি, সব জায়গায় একটাই আওয়াজ আসছে, মোদী, মোদী। গোটা দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদী। উন্নতির জন্য গোটা দেশ চাইছেন মোদী।
বাংলায় দুটি কারণে মোদীকে চাই। দেশের উন্নতি করতে পারেন একমাত্র মোদীই। আর মমতার সন্ত্রাস থেকে মোদীই বাঁচাতে পারেন। পুরো দেশে মোদীজিকে চাইছে। দেশের উন্নয়ন করতে হবে এবং বাংলাকে জঙ্গলরাজ থেকে মুক্তি দিতে পারেন একমাত্র নরেন্দ্র মোদী।
তৃণমূল কংগ্রেসের নাম টিএমসি কেন জানেন? টি অর্থাত্ তোষণ। বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের তোষণ করেছে সরকার। এম অর্থাত্ মাফিয়া। বাংলার মানুষকে নির্যাতন করছে গুন্ডারা। সি অর্থাত্ চিটফান্ড। হাজার হাজার কোটি টাকা খেয়ে নিয়েছে চিটফান্ড। রায়গঞ্জ থেকে কলকাতা পর্যন্ত লাইন লেগে যাবে চিটফান্ডের প্রতারিতদের। চিটফান্ডের পয়সা হজম করতে পারবেন না মমতা। এটা গরিবদের কষ্টের উপার্জন। তাঁদের মনোবেদনা টিএমসিকে ছাড়বে না।
মা-মাটি-মানুষ স্লোগান দিয়েছিলেন মমতা। মা থেকে মমতা চলে গিয়েছে। মাটি অনু্প্রবেশকারীদের বেচে দিয়েছেন। মানুষ টিএমসি-র গুন্ডাদের দ্বারা অত্যাচারিত। আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিতে এসেছি, অসমের মতো বাংলাতেও এনআরসি আনব। যত ক্ষমতা আছে, আটকে দেখাও। এক এক জন অনুপ্রবেশকারীকে বাংলার খাঁড়িতে ফেলব।
বাংলায় দুর্গাপুজো হবে না তো কি পাকিস্তানে হবে? এমন বাংলা চাই না। বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতী পুজো শুরু করেছিলেন গুরুদেব। বিশ্বকে সর্বোত্কৃষ্ট শিল্পী বাংলা দিয়েছে। আজ সরস্বতী পুজো করলে টিএমসি-র গুন্ডারা মারপিট করছে। বাংলায় সরস্বতী পুজো, রাম নবমী নির্বিঘ্নে করতে চাইলে বাংলার সরকারকে ফেলে দিন।