ঠা ঠা রোদে খাঁ খাঁ মাঠ, শান্তনুর সভায় ভাষণের আগে ধমক দিলেন ক্ষুব্ধ অমিত!
অঞ্জন রায়: ঠা ঠা রোদে খাঁ খাঁ করছে মাঠ। মেরেকেটে তিনশো থেকে চারশো লোক। হ্যাঁ, কল্যাণীর মাঠে অমিত যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন গোটা মাঠই কার্যত খালি।
কল্যাণীতে অমিতের আগে বনগাঁ কেন্দ্রেই শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে প্রচার করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। ওই সভাতেও মাঠ ভরেনি। এমনকি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরও যোগ দেননি। পরে জানান, অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি।
বিজেপি সূত্রের খবর, টাকাপয়সা নিয়ে মতানৈক্যের কারণেই শান্তনু গরহাজির ছিলেন। পরে অবশ্য ফেসবুক লাইভে সংবাদ মাধ্যমকে কাঠগড়ায় তুলে বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী দাবি করেন, অমিতের সভায় ৪ লক্ষ লোক আনবেন।
৪ লক্ষ লোক তো দূর, অমিত সভায় এসে গিয়েছেন, তখনও মাঠ মাঠ ধূ ধূ করছে। হাতে গোনা লোক দাঁড়িয়ে। মেরেকেটে চারশো।
ফাঁকা মাঠের কথা জানতে পেরে খানিকটা দেরিও করলেন অমিত শাহ। কিন্তু তাতেও ভরাতে পারেনি বিজেপি নেতৃত্ব।
বাংলায় ২৩টি আসন জয়ের লক্ষ্য নিয়েছে বিজেপি। তার মধ্যে বনগাঁ আসনটি রয়েছে বলে খবর। কিন্তু সেই বনগাঁতেই পরপর যোগী-শাহের দুটি সভায় মাঠ থেকে গেল খালি।
অতিসম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানে অমিত শাহের সভাতেও তেমন লোক আনতে পারেনি নেতৃত্ব। কিন্তু তা বলে এতটা কম! বিরোধীরা বলছেন, মাঠে স্থানীয় ক্লাবের ক্রিকেট খেলা হলেও এর চেয়ে বেশি দর্শক হয়।
সভায় গুটি কয়েক লোক দেখে দৃশ্যতই রেগে যান অমিত শাহ। আর সেটা অনুধাবন করে কাঁচুমাচু মুখ করে বসছিলেন নেতারা।
সূত্রের খবর, রাজ্য নেতাদের ধমক দিয়েছেন অমিত শাহ। কিন্তু প্রশ্ন হল, প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর যে ৪ লক্ষ লোক আনার দাবি করছিলেন, তার কী হল?
বিজেপি নেতারা অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তৃণমূলের ভয়ে সমর্থকরা আসতে পারেননি। বাস আটকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে অবশ্য আমল দেননি অমিত শাহ।