মমতার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হোক, কমিশনে দাবি বিজেপির, তদন্তের আশ্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল নেত্রী প্ররোচনামূলক ভাষণ দিচ্ছেন। তাঁকে ভোট প্রচার থেকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শরণাপন্ন হল বিজেপি। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে যান মুখতার আব্বাস নকভি ও নির্মলা সীতারমণরা।
কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে মুখতার আব্বাস নকভি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাণ্ডব চলছে। নির্বাচন কমিশন নিজেদের গরিমা অটুট রাখতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করুক। তৃণমূল নেত্রীকে সভা-সমাবেশ থেকে নিষিদ্ধ করা হোক।
বিহারের সঙ্গে বাংলার পরিস্থিতি তুলনা করেন নকভি। বলেন, ''২০০৫ সালে এভাবেই গুন্ডাদের শাসন চলত বিহারে। তেমন পরিস্থিতি এখন পশ্চিমবঙ্গে। অরাজকতা চলছে। মু্খ্যমন্ত্রীই হিংসা, গুলিবর্ষণ ও মানুষকে আহত করার নির্দেশ দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই হিংসার তাণ্ডব চলছে''।
তৃণমূল নেত্রী ভাষণের মাধ্যমে প্ররোচনা ছড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন নকভি। বলেন,''ভোটপ্রচার থেকে মমতাকে বিরত রাখা হোক। নির্বাচন কমিশন নিজেদের গরিমা রেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করুক''।
নকভির সুরেই সীতারমণ বলেন,''বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির রোড শোয়ের পর হিংসা ছড়িয়ে পড়ল। নির্বাচনের দিনেও এই ধরনের পরিস্থিতি থাকলে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ হবে না। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেওয়ার কথা বলছেন মমতা। ওনাকে নির্বাচনী প্রচার থেকে নিষিদ্ধ করা হোক''।
কমিশনে বিজেপি আরও দাবি করেছে, প্রতিটি এলাকায় ফ্ল্যাগ মার্চ করতে হবে। পাঠাতে হবে বিশেষ প্রতিনিধি। বিজেপির অভিযোগের তদন্ত করা হবে কমিশন আশ্বাস দিয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।
উল্লেখ্য, রবিবার বাসন্তীর সভায় মমতা বলেছিলেন, ''ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেব। যা দেখিয়েছেন, সেই আয়নাই দেখবেন। অনেক অপমান করেছেন। সরকার চালাতে দেন না। আইনশৃঙ্খলায় হস্তক্ষেপ করেন''।
এদিনই আবার অমিত শাহের সভা ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলেজস্ট্রিট ও বিধানসরণী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্ররা কালো পতাকা দেখানো নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরাই শুরু করেছিল ইটবর্ষণ। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের ছাত্ররা। বিদ্যাসাগর কলেজেও ওঠে একই অভিযোগ। সেখানে আবার কলেজের ভিতরে ঢুকে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে বলেও অভিযোগ করেছে তৃণমূল। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হোক।