জনসভা থেকে আওয়াজ উঠল `চৌকিদার চোর হ্যায়`, চুপ করে রইলেন মমতা
সুতপা সেন: 'চৌকিদার চোর হ্যায়' নিয়ে বিপাকে রাহুল গান্ধী। তাঁকে আদালত অবমাননার নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর তারপরই সতর্ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রতিটি সভায় নিয়ম করে 'চৌকিদার চোর হ্যায়', 'চৌকিদার ঝুটা হ্যায়' বলতে শোনা গিয়েছে মমতাকে। তার পাল্টা রাজ্যে এসে নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ''চৌকিদার তটস্থ। ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলে পুরব''।
মঙ্গলবার আরামবাগের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝে জনতা স্লোগান দেন, 'চৌকিদার চোর হ্যায়'। কিন্তু সাবধানী মমতা সে পথ হাঁটলেন না। নীরব থাকলেন। শুধু মিটিমিটি হাসলেন।
এদিন নাম না করে নির্বাচন কমিশনকে তোপ দাগেন মমতা। বলেন,''বিজেপির নেতাদের প্রচারে সুবিধার জন্য ৭ দফায় ভোট করা হচ্ছে। বিজেপির নেতারা যাতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় প্রচারে যেতে পারে সে কারণে এই সিদ্ধান্ত''।
রাফাল প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এবার সুপ্রিম কোর্টও বলে দিয়েছে, চৌকিদারই চোর। গত ১৫ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দেয়, রাফাল রায়ে এমন কিছু বলা নেই, যা থেকে 'চৌকিদার চোর হ্যায়' বলা যেতে পারে।
সোমবার হলফনামা জমা দিয়ে রাহুল গান্ধী ব্যাখ্যা দেন, উত্তেজনার বশে 'চৌকিদার চোর হ্যায় বলেছিলেন'। সুপ্রিম কোর্টের রায় খতিয়ে দেখেননি। মীনাক্ষি পাল্টা আদালতে জানান, রাহুল অনুতপ্ত। কিন্তু কোথাও ক্ষমা চাননি তিনি। রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানান, এব্যাপারে রাহুলের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত। কোনও নোটিস জারি করা হয়নি। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।