বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণে ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাব দেব না, মমতাকে জানাল কমিশন
লোকসভা ভোটে আগে কলকাতা পুলিস কমিশনার বদলের পর নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে পক্ষপাতদুষ্টের অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তার জবাব দিল নির্বাচন কমিশন।
শুক্রবার রাতেই কলকাতা পুলিস কমিশনার পদ থেকে অনুজ শর্মাকে সরিয়ে নতুন নগরপাল করা হয় রাজেশ কুমারকে। রাজীব কুমাকে সরিয়ে অনুজ শর্মাকে কলকাতা পুলিস কমিশনার পদে মাত্র ২ মাস আগেই নিয়োগ করা হয়েছিল। একইসঙ্গে বদলি করা হয়েছে বিধাননগরের পুলিস কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিংকেও। তাঁর জায়গায় বিধাননগর পুলিসের কমিশনার করা হয়েছে নটরাজন রমেশ বাবুকে। দুই অফিসারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা।
কমিশনের সিদ্ধান্তের পর মমতা চিঠিতে লিখেছিলেন, 'কমিশনের সিদ্ধান্ত পক্ষপাতদুষ্ট ও প্ররোচিত। বিজেপি নেতারা অভিযোগ করার পরই অফিসার বদলে দেওয়া হচ্ছে'। পরে জি ২৪ ঘণ্টায় একান্ত সাক্ষাত্কারে তৃণমূল নেত্রী দাবি করেছিলেন, এক গদ্দারের কথায় চলছে নির্বাচন কমিশন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই একটি টিভি চ্যানেলে স্বীকার করেছিলেন, বাংলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় সাত দফায় ভোট করাচ্ছেন।
এদিন কমিশন চিঠিতে জানিয়েছে, 'দুর্ভাগ্যজনক আদর্শ আচরণবিধির জারি রয়েছে, এমন সময় কেন্দ্রের শাসক দলের স্বার্থে খামখেয়ালি, প্ররোচিত পদক্ষেপ করছে কমিশন। এই অভিযোগ সঠিক নয়। বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণে ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই'।
এরইসঙ্গে নির্বাচন কমিশন মনে করিয়ে দিয়েছে, ১৯৫১ সালে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২৮এ ধারায় নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হওয়ার পর থেকে ভোটঘোষণা হওয়া পর্যন্ত সমস্ত সরকারি আধিকারিকই কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন। কমিশনের শৃঙ্খলা মেনে চলতে বাধ্য তাঁরা।
দুজন অফিসারকে সরিয়ে লাভ হবে না। সব অফিসারই আমাদের অফিসার। এই রাজনীতি কারা করে, যারা ভয় পায়। মন্ত্রিসভার সচিব কেন সরবে না? রাজ্যগুলির উপরে কেন হস্তক্ষেপ মোদীবাবু? ময়নাগুড়ির সভায় বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।