শ্যুটিং ভিসায় রাজনৈতিক প্রচার, চাপে পড়ে ফিরদৌসকে ফেরার নির্দেশ বাংলাদেশ সরকারের
নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূলের হয়ে বাংলাদেশি নাগরিক ফিরদৌসের প্রচার নিয়ে চলছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। নির্বাচন কমিশনে নালিশ করেছে বিজেপি। রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এবার ফিরদৌসকে ডেকে পাঠাল কলকাতায় স্থিত বাংলাদেশের উপদূতাবাস।
ফিরদৌসের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। একইসঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে যেতে হবে অভিনেতাকে। নির্বাচন মেটার পর ভারতে আসতে পারবেন তিনি।
জানা গিয়েছে, শ্যুটিং করার জন্য ভিসা পেয়েছিলেন ফিরদৌস। সেই ভিসাতেই রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার সারেন তিনি।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে তৃণমূলের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল ফিরদৌসকে। এমনকি তৃণমূল প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের হয়ে ভোটও চান অভিনেতা।
জানা গিয়েছে, শ্যুটিংয়ের জন্য ভিসা পেয়েছিলেন ফিরদৌস। তাঁর কাছে ছিল এদেশে কাজ করার অনুমোদন। কিন্তু সেই ভিসা ব্যবহার করে প্রচার করেছেন অভিনেতা। রাজ্য সরকারের কাছে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, বিদেশি অভিনেতা প্রচার অংশ নেওয়ায় ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে মনে করছে বিদেশি আঞ্চলিক পঞ্জিকরণ দফতর(এফআরআরও)। আর এনিয়ে উত্তর দিনাজপুরের পুলিস সুপার জবাবদিহি করতে বাধ্য। ফলে তাঁর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের নির্বাচনে বিদেশি নাগরিকের প্রচার নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করেছে বিজেপি। ঘটনায় এনআইএ তদন্ত দাবি করেছে তারা। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়,''তৃণমূল দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। অন্য দেশ থেকে শিল্পী ভাড়া করে আনতে হচ্ছে''। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, এবার ইমরান খানকে প্রচারে ডাকবেন তৃণমূল নেত্রী।
বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কথায়, ''তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকতে দিচ্ছে। এবার বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে এটা অশনিসংকেত''।
তৃণমূল নেতা মদন মিত্র সাফাই দেন,''১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে সময় আমরা সাহায্য করেছিলাম। ফিরদৌসকে প্রচারে এনে আমরা ভুল কিছু করিনি। দেশবিরোধী, বেআইনি ও আদর্শআচরণবিধি লঙ্ঘন করে কিছু করবে না তৃণমূল কংগ্রেস। কমিশন আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বিজেপিকে ছাড়া চলবে না। রাম নবমী অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছেন বিজেপি প্রার্থীরা''।