তৃণমূলের প্রচারে বিদেশি ফিরদৌস, রিপোর্ট চাইল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, কমিশনে বিজেপি
নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেছেন বাংলাদেশের নাগরিক ফিরদৌস। এনিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে এবার রিপোর্ট তলব করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ভারতের নির্বাচনে বিদেশি নাগরিককে কেন ব্যবহার করা হল, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এদিন নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার দাবি করেন, হোয়াটসঅ্যাপে গতকালই ভিডিও-সহ অভিযোগ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এদিন কমিশন তা অস্বীকার করেছেন।
অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার সঞ্জয় বসুর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সরানোর দাবি করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কমিশন। জয়প্রকাশের বক্তব্য, তৃণমূল দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। অন্য দেশ থেকে শিল্পী ভাড়া করে আনতে হচ্ছে।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের সমর্থনে প্রচার করেন ফিরদৌস। ঘাসফুলের সভায় তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান ফিরদৌস।
উত্তর দিনাজপুরে মুসলিম ভোটার প্রায় ৫১ শতাংশ। রায়গঞ্জে এবার চতুর্মুখী লড়াইয়ে মুসলিম ভোট ফারাক গড়ে দিতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সেই মুসলিম ভোটের লক্ষ্যেই বাংলাদেশের অভিনেতা ফিরদৌসকে প্রচারে নামায় তৃণমূল।
তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির দিলীপ ঘোষ বলেন,''কীভাবে ভারতের একটি রাজনৈতিক দলের প্রচারে বিদেশি নাগরিক আসতে পারেন! আগে কখনও এমনটা দেখিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইন-কানুন মানেন না। ভোটার কম পড়লে রোহিঙ্গাদের ডেকে আনছেন, আবার সিবিআইকে গ্রেফতার করছেন। কাল হয়তো ইমরান খানকেও প্রচারে ডাকবে তৃণমূল। তীব্র নিন্দা করছি''।
বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কথায়, ''তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকতে দিচ্ছে। এবার বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে এটা অশনিসংকেত''।
তৃণমূল নেতা মদন মিত্র সাফাই দেন,''১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে সময় আমরা সাহায্য করেছিলাম। ফিরদৌসকে প্রচারে এনে আমরা ভুল কিছু করিনি। দেশবিরোধী, বেআইনি ও আদর্শআচরণবিধি লঙ্ঘন করে কিছু করবে না তৃণমূল কংগ্রেস। কমিশন আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বিজেপিকে ছাড়া চলবে না। রাম নবমী অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছেন বিজেপি প্রার্থীরা''।
ফিরদৌসের সঙ্গে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেন অভিনেতা অঙ্কুশ ও অভিনেত্রী পায়েল।