বিজেপি কর্মীরা আত্মহত্যা করেছে, গ্রামেগঞ্জে এসব হয়, দাবি করলেন মমতা
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু এই ঘটনায় বিজেপি রাজনীতি করছে বলে দাবি করলেন মমতা। তাঁর মতে, গ্রামেগঞ্জে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
বাংলায় প্রতিটি সভায় নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ মন্তব্য করেছেন, বাংলায় দুর্গাপুজোর বিসর্জনে বাধা দেওয়া হয়। সরস্বতী পুজো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি আসলে দুর্গাপুজোয় হবে, স্কুলে স্কুলে হবে সরস্বতী পুজোও।
পাণ্ডুয়ার সভা মমতা বলেন,''হোমওয়ার্ক করে না। কয়েকটা গুন্ডা টাকার বাক্স নিয়ে হয়েছে পান্ডা। গদা নিয়ে মিছিল হয়েছে। এটা বাংলার কালচার? মা দুর্গার পুজো করি। আবার বলছে এখানে দুর্গাপুজো হয় না। গন্ডমুর্খদের দল। গন্ডমুর্খ শক্তি। কুত্সিত কথা যাদের একমাত্র সম্বল। মিথ্যা কথায় ভরা''।
বারাণসীর সভায় নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ''বাংলায় বিজেপি কর্মীরা বাড়ি থেকে বেরানোর আগে মাকে বলে যান, নাও ফিরতে পারি। আমি না ফিরলে ভাইকে পাঠিয়ে দিও''। কাশ্মীরের চেয়েও বাংলার পরিস্থিতি খারাপ বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদীকে এদিন পাল্টা জবাব দেন মমতা। বলেন, ''রোজ উস্কানিমূলক কথা বলে যাচ্ছে। বলছে, এখানে রোজ খুন হচ্ছে। আমরা নাকি সবাইকে গলায় দড়ি দিয়ে মেরে ফেলি।
মমতা আরও বলেন,''সুইসাইড অপরাধ। গ্রামগঞ্জে পুকুরে ঝাঁপ বা গাছে দড়ি দিয়ে সুইসাইড করে অনেকে। এক একটা ঘটনা ঘটনা ঘটে যায়। উনি বলছেন গলায় দড়ি দিয়ে মেরে দিল''।
পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মীদের রহস্যমৃত্যুর প্রসঙ্গ না নিয়েই মমতা বলেন,''একটা-দুটো ঘটনা ঘটেছে। সিআইডি-কে তদন্ত দিয়েছি। ওই জেলায় ৮১জন গলায় দড়ি দিয়ে মারা গিয়েছে। আমরা কেউ চাই না সুইসাইড হোক। গ্রামগঞ্জে এসব হয়''।
গত ৩১ মে পুরুলিয়ার বলরামপুরের সাপুরডি গ্রামে মেলে ১৮ বছরের তরতাজা যুবক ত্রিলোচন মাহাতোর ঝুলন্ত দেহ। বিজেপি যুব মোর্চার সক্রিয় কর্মী ছিলেন ত্রিলোচন। মৃতদেহের গায়ে থাকা জামা ও পাশে পোস্টারে হুমকি দিয়ে জানানো হয়, ১৮ বছর বয়সে বিজেপি করার মূল্য দিতে হয়েছে তাঁকে। তার কয়েকদিন পর বলরামপুরেরই ডাভা গ্রামে একটি হাই টেনশন খুঁটি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় দুলাল কুমারের ঝুলন্ত দেহ। দ্বিতীয় দফা ভোটের দিন পুরুলিয়ায় উদ্ধার হয় বিজেপি কর্মী শিশুপাল সাহিসের ঝুলন্ত দেহ।