ভারতের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপোষ নয়, ফিরদৌসকে দেশত্যাগের নির্দেশে বোঝাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

Tue, 16 Apr 2019-9:47 pm,

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতে কাজের অনুমোদনপত্র পেয়েছিলেন।কিন্তু ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক ফিরদৌস। অভিনেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল ভারত সরকার। 

রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট চেয়েছিলেন অভিনেতা ফিরদৌস। বিজেপির অভিযোগের পর বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। 

অভিবাসন দফতর রিপোর্টে জানায়, ভারতে কাজের জন্য ভিসা দেওয়া হয়েছিল ফিরদৌসকে। কিন্তু সেই শর্ত লঙ্ঘন করেছেন অভিনেতা। 

অভিবাসন দফতরের রিপোর্টের ভিত্তিতে ফিরদৌসের ব্যবসায়িক ভিসা বাতিল করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাঁকে অবিলম্বে ভারত ত্যাগের নোটিস দেওয়া হয়েছে। 

শুধু তাই নয়, ভারতের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হয়েছে বলেও মনে করছে বিদেশমন্ত্রক। সে কারণে ফিরদৌসকে কালো তালিকাভূক্তও করা হয়েছে।

শুধু ফিরদৌস নন, মদন মিত্রের সঙ্গে সৌগত রায়ের সমর্থনে প্রচারে নেমেছিলেন 'রাণী রাসমণি'র রাজা রাজ চন্দ্রের অভিনেতা গাজি আবদুন নুর। জানা গিয়েছে, এদেশে কাজের অনুমোদনপত্র ছিল দুই বাংলাদেশি অভিনেতার। সেই হিসেবেই ভিসা পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক প্রচারে সামিল হন তাঁরা। 

বলে রাখি, ইতিমধ্যেই এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করেছে বিজেপি। ভারতের অবস্থান জানার পর ফিরদৌসকে ডেকে পাঠায় কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাস। তাঁকে দেশে ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়। 

ফিরদৌসের প্রচারে জামাত-তৃণমূল যোগের অভিযোগ করে এনআইএ তদন্ত চেয়েছেন উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, ''অন্য দেশের নাগরিক কাভীবে দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে? এটা আসলে তৃণমূলের সঙ্গে জামাত-ই-ইসলামির যোগের প্রচার করা হয়েছে''।   

বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কথায়, ''তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকতে দিচ্ছে। এবার বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে এটা অশনিসংকেত''।   

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link