ফিরহাদ, কাকলি, অপরূপার নাম করে নারদে মমতাকে পাল্টা খোঁচা মুকুলের
লোকসভা ভোটে আগে সারদা-নারদা নিয়ে জমজমাট ভোটযুদ্ধ। ঝাড়া দিয়ে উঠল নারদা-সারদার ভূত। কোচবিহারে রাসমেলা ময়দানের সভায় রোজভ্যালি, সারদা চিটফান্ড তুললেন মোদী। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে বললেন,''নারদা-সারদার অভিযুক্ত আপনার পাশে''। মমতার মন্তব্য অস্ত্র করে পাল্টা মুকুলের প্রশ্ন, নারদার স্টিং ভিডিয়োয় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে বলেই কি ফিরহাদ হাকিমকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিলেন?
কোচবিহারের সভায় নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, ''নারদা, সারদা, রোজভ্যালি দুর্নীতিতে আপনার আজীবনের সঞ্চয় লুঠে নিয়েছে। কার সিন্দুকে গিয়েছে? গরিবদের যাঁরা লুঠেছেন, তাঁদের কাছ থেকে হিসেব নেবে চৌকিদার''।
ময়নাগুড়ির সভায় নাম না করে মমতা আবার পাল্টা দেন, যে লোকটা আপনার সামনে বসে সভা নিয়ন্ত্রণ করছে, সে-ই তো সারদা-নারদার সবচেয়ে বড় অভিযুক্ত। সারদা-নারদার দুটি অভিযোগ রয়েছে ওর বিরুদ্ধে। তাকে পাশে নিয়ে সভা করছেন।
বিকেলে বিজেপির রাজ্য দফতরে সাংবাদির বৈঠকে মুকুল দাবি করেন, ''জীবনে কোনও অনৈতিক কাজ করিনি। নারদা যেহেতু বিচারাধীন আছে, তাই কিছু বলছি না''।
এরপরই তাঁর প্রশ্ন, নারদায় হাত পেতে টাকা নিয়েছেন বলেই কি আজ মন্ত্রিত্বের সঙ্গে অতিরিক্ত পদ দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে? উনি কি বলছেন, বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে টাকা নিতে দেখা যাচ্ছে, তাহলে বলে উনি অভিযুক্ত।
মমতার এদিনের বক্তব্য স্মরণ করিয়ে মুকুল বলেন,''আমি কিন্তু এটা বলছি না, বলছেন মুখ্যমন্ত্রী''। অপরূপা পোদ্দারকেও টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। তাহলে কেন প্রার্থী করলেন? প্রশ্ন মুকুলের।
এদিন সারদা প্রসঙ্গে মুকুল দাবি করেন, সারদার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌলতে প্রথম সুদীপ্ত সেনকে দেখি। সুদীপ্ত সেনকে দেখিনি, চিনি না। সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে দুবার সাক্ষাত্ করেছি। একবার ডেলোয়। একবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে।
সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়ার আগে সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত করেছিল সিট। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে মুকুল রায় বলেন, সিটের তদন্ত দেখাশোনা করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থেকে থাকলে কেন সেই সময় আমাকে ডাকলেন না? উনি তো তখন পুলিসমন্ত্রীও ছিলেন।