এক্সক্লুসিভ: গোপন আস্তানায় পাহাড়ে বিজেপির প্রার্থী ঠিক করলেন গুরুং-ঘিসিংরা?
মৌপিয়া নন্দী: প্রথম দফায় ২৮ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। শনিবার দ্বিতীয় দফা জঙ্গিপুর আসনে প্রার্থী করা হয়েছে মাফুজা খাতুনকে। তবে এখনও বাকি রয়েছে দার্জিলিঙের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসন। সূত্রের খবর, ওই কেন্দ্রে রাজু বিস্তাকে প্রার্থী করার জন্য শিলমোহর দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও জেএনএলএফ।
এসআই অমিতাভ মালিকের খুনের ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বিমল গুরুং ও রোশন গিরি। ভোটের আগে বিমল গুরুং পাহাড়ে আসতে পারেন বলে দিন কয়েক আগেই জানিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
গুরুং দার্জিলিঙে ফিরতে পারেন বলে ইতিমধ্যেই মিলেছে ইঙ্গিত। নিরাপত্তাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মোর্চা নেতা। বিমল গুরুংয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে শীর্ষ আদালত।
গতবার তৃণমূলকে সমর্থন দিয়েছিল গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট। তবে এবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তারা। পাহাড়ে দুই দলের 'মধুর' সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। সেই দুই দলই এবার হাত মিলিয়েছেন। প্রেস বিবৃতি জারি করে দুপক্ষ জানিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসাংবিধানিক ও দমনমূলক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এই সিদ্ধান্ত।
পাহাড়ে গুরুংয়ের অজ্ঞাতবাস থাকাকালে মোর্চার রাশ এখন বিনয় তামাং ও অনীত থাপার হাতে। আর বলাই বাহুল্য, দুই নেতাই তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ। ওদিকে আবার গতবার জেতা দার্জিলিং আসনটি ধরে রাখতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু পাহাড়ে তো গুরুংকে ছাড়া দাঁত ফোটানো সম্ভব নয়। তার আভাস কয়েকদিন আগেই দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। দাবি করেছিলেন, ঠিক সময়েই আসবেন বিমল গুরুং।
তৃণমূল প্রার্থী অমর রাইকে মীরজাফর আখ্যা দিয়ে দুই দলের জোট বিবৃতিতে জানায়, গোর্খাদের নানা গোষ্ঠীতে ভাগ করে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার। নানাভাবে পুলিস লেলিয়ে উত্যক্ত করা হচ্ছে বিরোধীদের।
রবিবার গোপন আস্তানায় সুবাসপুত্র মন ঘিসিংদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিমল গুরুং। ওই বৈঠকেই পাহাড়ে প্রার্থী নিয়ে চলে আলোচনা। রাজু বিস্তাকেই প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে দুই দল। মণিপুরে জন্ম বিস্তার। বয়স ৩২ বছর।
দার্জিলিঙের প্রার্থী হিসেবে সত্পাল সিংয়ের নাম শোনা যাচ্ছিল। বিজেপি সূত্রের খবর, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এনডিএ-র সদস্য। ফলে রাজু বিস্তাই হতে চলেছেন পাহাড়ে বিজেপির প্রার্থী।