সব্যসাচী কি তৃণমূলেই? জল্পনা উস্কে দলের অনুষ্ঠানে গরহাজির বিধাননগরের মেয়র
মৌমিতা চক্রবর্তী: লুচি-আলুরদম পর্ব এখনও কি অব্যাহতে? বিধাননগরের অন্দরে আরও একবার সেই উঠে এল সেই প্রশ্ন। নিজের ওয়ার্ডের অনুষ্ঠানেই গরহাজির থাকলেন মেয়র সব্যসাচী দত্ত।
সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে মুকুল রায়ের লুচি-আলুরদম খাওয়ার পর থেকেই দানা বেঁধেছে জল্পনা। শোনা যাচ্ছিল, সব্যসাচী দত্তকে বারাসতের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি। ওই ঘটনার পর সব্যসাচীকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'দলেই থাকছেন বিধাননগরের মেয়র। সৌজন্য সাক্ষাতের পর রাজনীতি করেছেন পুরনো সহকর্মী'।
দিন কয়েক আগে জলপাইগুড়িতে মুকুল রায় ফের দাবি করেন, সব্যসাচী সঙ্গেই রয়েছেন। উনি উন্নয়নের সঙ্গে। তার আগে আবার হোলিতে 'ভারত মাতা কি জয়' বলে জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন বিধাননগরের মেয়র।
রবিবার বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে হোলিপ্রীতি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল তৃণমূল। ওই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন সুজিত বসু, ফিরহাদ হাকিম ও উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু এলেন না সব্যসাচী দত্ত?
ইতিউতি প্রশ্ন উঠছে, দলের সঙ্গে কি তাহলে দূরত্ব বাড়ছে সব্যসাচীর? রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন,''সব ঠিক আছে। এসব মিডিয়ার তৈরি''।
কিন্তু সব্যসাচীকে নিয়ে অসন্তোষ প্রকট করে ফেলেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর কথায়, ''ওঁর আসা উচিত ছিল। এটা তো দলের অনুষ্ঠান। আলাদা করে নিমন্ত্রণ করতে হয় না। দলে থেকে শৃঙ্খলা মানছেন না''।
এদিন তৃণমূলের অনুষ্ঠানে ভুরিভোজের ব্যবস্থা ছিল। সেই প্রসঙ্গ তুলে ব্রাত্য বসুর কটাক্ষ, লুচি-মাংস খাওয়ানোর চেষ্টা করছি না। আমাদের আতিথেয়তা অন্যরকম।