Exclusive: বিজেপি ঘেঁষা সংগঠনের মঞ্চে রবিবার একসঙ্গে আসছেন সব্যসাচী-শোভন-বৈশাখী
নিজস্ব প্রতিবেদন: একমঞ্চে আসতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও সব্যসাচী দত্ত। আর সেটা তৃণমূলের নয়, বরং বিজেপি মনোভাবাপন্ন একটি সংগঠনের আলোচনাচক্রে। 'বেঙ্গল থিংকস' নামে সংগঠনটির পোস্টার প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা।
৭ এপ্রিল কলকাতার আইসিসিআর-এর জামিনি রয় গ্যালারিতে 'আজকের বাংলায় ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা ও রাজনীতির হস্তক্ষেপ' শীর্ষক আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছে 'বেঙ্গল থিংকস' নামে একটি সংগঠন।
ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে সাম্মানিক অতিথি সব্যসাচী দত্ত, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের দিব্যানন্দ মহারাজ। এমন অতিথি ত্রয়ীকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ব্যক্তিগত কারণে মন্ত্রিত্ব ও পুরসভার মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রকাশ্য রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। বিজেপির টিকিটে ডায়মন্ড হারবার থেকে শোভন বা বৈশাখী প্রার্থী হতে পারেন বলে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। যদিও বৈশাখীদেবী পরে জানান, প্রস্তাব এসেছিল। তবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না।
সব্যসাচী চক্রবর্তীর বাড়িতে মুকুল রায় লুচি-আলুর দম খাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল জল্পনা। তাঁকে বারাসত কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। পরে অবশ্য সব্যসাচী দত্ত জানিয়ে দেন, তৃণমূলেই আছেন। দিন কয়েক আগে সব্যসাচী দত্ত তাঁর ওয়ার্ডেই তৃণমূলের হোলি উদযাপন অনুষ্ঠানে ডাক পাননি। মুকুল রায় আবার দাবি করেছেন, সব্যসাচী বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। সবমিলিয়ে সব্যসাচীর বর্তমান অবস্থান একটা আস্ত ধাঁধা।
তো এহেন ত্রিমূর্তি ডাক পেয়েছেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ একটি সংগঠনের আলোচনাচক্রে। ফলে এই তিন জন কি ধীরে ধীরে বিজেপির দিকে পা বাড়াচ্ছেন? উঠছে প্রশ্ন। বেঙ্গল থিংকসের দীপ্ত বক্সির দাবি, তাদের সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।
কিন্তু সংগঠনের পোস্টারটি একটু খেয়াল করলেই সবটা স্পষ্ট হবে। উপরের দিকে মানচিত্রের পটভূমিতে রয়েছে 'ভারত মা'-এর ছবি। বিষয় নির্বাচনেও রয়েছে গেরুয়া শিবিরের ছাপ। বেঙ্গল থিংকসের দাবি, ভারত মা কোনও রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।
কোনও সংগঠনের ব্যাপারে কিছুই না জেনে আলোচনাচক্রে হাজির হয়ে যাবেন সব্যসাচী ও শোভনের মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিক? এমনটা তো নয়। উত্তর দেবে ভবিষ্যত।