বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে আমাদের অবদান ছিল, ফিরদৌসের প্রচারে সাফাই মদনের
নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে বাংলাদেশ অভিনেতা ফিরদৌসকে দিয়ে প্রচার করানোয় ইতিমধ্যেই বিতর্কে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করেছে বিজেপি। আর এনিয়ে এবার আত্মপক্ষসমর্থন করলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র।
জি মিডিয়াকে মদন মিত্র জানিয়েছেন, ''১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে সময় আমরা সাহায্য করেছিলাম। ফিরদৌসকে প্রচারে এনে আমরা ভুল কিছু করিনি''।
মদন মিত্র আরও বলেন,''দেশবিরোধী, বেআইনি ও আদর্শআচরণবিধি লঙ্ঘন করে কিছু করবে না তৃণমূল কংগ্রেস। কমিশন আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বিজেপিকে ছাড়া চলবে না। রাম নবমী অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছেন বিজেপি প্রার্থীরা''।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের সমর্থনে প্রচার করেন ফিরদৌস। ঘাসফুলের সভায় তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান ফিরদৌস। সোল্লাসে স্বাগত জানান জনসভায় উপস্থিত তৃণমূলের সমর্থকরা।
উত্তর দিনাজপুরে মুসলিম ভোটার প্রায় ৫১ শতাংশ। রায়গঞ্জে এবার চতুর্মুখী লড়াইয়ে মুসলিম ভোট ফারাক গড়ে দিতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সেই মুসলিম ভোটের লক্ষ্যেই বাংলাদেশের অভিনেতা ফিরদৌসকে প্রচারে নামায় তৃণমূল।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির দিলীপ ঘোষের কথায়,''কীভাবে ভারতের একটি রাজনৈতিক দলের প্রচারে বিদেশি নাগরিক আসতে পারেন! আগে কখনও এমনটা দেখিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইন-কানুন মানেন না। ভোটার কম পড়লে রোহিঙ্গাদের ডেকে আনছেন, আবার সিবিআইকে গ্রেফতার করছেন। কাল হয়তো ইমরান খানকেও প্রচারে ডাকবে তৃণমূল। তীব্র নিন্দা করছি''।
ফিরদৌসের প্রচারের ভিডিয়ো নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের প্রার্থীপদ খারিজ করা হোক।
ফিরদৌসের সঙ্গে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেন অভিনেতা অঙ্কুশ ও অভিনেত্রী পায়েল।