পশ্চিমবঙ্গের ভোট-নির্ঘণ্টে কী ইঙ্গিত? বাহিনী বাড়াতেই এমন কৌশল কমিশনের?
পঞ্চায়েত ভোট ও তারপর একাধিকবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনের উপরে চাপ বাড়িয়েছে বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য নেতারাও কমিশনের দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন। আর সেই দরবারের ফল মিলল নির্বাচন কমিশনের ভোট ঘোষণায়।
প্রথম দফায় ১১ এপ্রিল ভোট হবে ২০টি রাজ্য। এবং ৯১টি লোকসভা কেন্দ্রে। আর এই দফায় রাজ্যে মাত্র দুটি আসন কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভোটগ্রহণ।
দ্বিতীয় দফায় ১৮ এপ্রিল দেশের ৯১টি আসনে ভোটগ্রহণ। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসন- জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও রায়গঞ্জ।
তৃতীয় দফায় ২৩ এপ্রিল দেশের ১১৫টি আসনে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি- বালুরঘাট, মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ।
চতুর্থ দফায় ২৯ এপ্রিল ৭১টি আসনে ভোটগ্রহণ। এই দফায় পশ্চিমবঙ্গের সাতটি আসনে ভোট। বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর ও বীরভূমের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
পঞ্চম দফায় ৫১টি আসনে ভোটগ্রহণ ৬ মে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৭টি আসনে। এই দফায় বনগাঁ, বারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি ও আরামবাগে ভোটগ্রহণ।
১২ মে ষষ্ঠ দফায় দেশের ৫৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণপুর ও মেদিনীপুর।
সপ্তম তথা শেষ দফায় ১৯ মে ৫৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ৯টি কেন্দ্র- দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণ। ভোটগ্রহণ ১৯ মে।
গোটা বিষয়টি থেকে একটা জিনিস স্পষ্ট, দেশজুড়ে যেদিন নির্বাচন হচ্ছে, সেদিন বাংলায় উত্তরবঙ্গের দুটি আসনে ভোটগ্রহণ। আর যখন দেশের আসন সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তখন নির্বাচন হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে। রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজ্যে পরিমিত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখতেই এমনভাবে ভোট নির্ঘণ্ট তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন।