হাসপাতাল থেকে ছুটি, ফের অসুস্থ, সন্ধ্যায় তিয়াশাকে নিয়ে বেলঘরিয়ায়- মদনের দিননামচা
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই খোশমেজাজে মদন। সুযোগ পেলেই করলেন গান, ফেসবুক লাইভেও স্বমেজাজেই ধরা দিলেন তিনি ।
লাল টকটকে ধুতি-পাঞ্জাবি। চোখে চশমা। মাস্কেও রংমিলান্তি। রবিবার সকালে এসএসকেএম থেকে যখন বেরোলেন, মদন মিত্র তখন মেজাজে।
অনুরাগীদের ঘেরাটোপ থেকেই ধরলেন রবীন্দ্র সঙ্গীত। শুক্রবার জামিন পেয়েছেন। রবিবার হাসপাতাল থেকে মুক্তি। সকলকে বললেন, তিনি এক্কেবারে ফিট।
স্টেয়ারিং ধরলেন নিজেই, স্বমহিমায় মদনকে দেখে খুশি অনুরাগীরা। বাড়ির উদ্যেশ্যে রওনা দিলেন কামারহাটির বিধায়ক।
ভবানীপুরে বাড়ির সামনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা। ছুটে দাদুকে দেখতে আসে নাতিও, ছবিও তোলে খুদে।
বাড়ির কাছেই শুরু হল অক্সিজেন দেওয়া, সঙ্গে চলল নেবুলাইজার। অসুস্থতার মাঝেই খবর নিতে ব্যস্ত সকলের।
ফোনে ডাক্তার পই পই করে বলেছিলেন বিশ্রাম নিতে, কিন্তু মদন মিত্র শুনলেন কই। অসুস্থতা কাটিয়ে মদন আবার স্বমহিয়ায়, টেলি অভিনেতা তিয়াসা রায়কে বাড়ি থেকে নিয়ে রওনা দিলেন মদন।
তিয়াসার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর বললেন 'ও লভলি'। নিজে বেগুনি শার্ট ও কালো ট্রাউজার পরে ছুটলেন বেলঘরিয়ার খাটু শ্যাম মন্দিরে পুজো দিতে।
মন্দিরে বসে মন দিয়ে পুজো দিলেন। পুরোহিতরা মালা পরিয়ে স্বাগত জানালেন মদন মিত্রকে।
মালা পরেই মন্দির থেকে বের হলেন মেজাজে। ঠাকুরের আশীর্বাদ নিয়ে কাজের উদ্যেশ্যে রওনা দিলেন মদন।
অসুস্থতা কাটিয়ে স্বমহিমায় ফিরলেন মদন, মন্দিরেই বলে উঠলেন 'খাটু নরেশ কি জয়, শ্যাম বাবা কি জয়'। রবীন্দ্রনাথের কবিতাও শোনালেন দু কলি।
মন্দিরের সামনে টলি অভিনেত্রীকে নিয়েই খিচুড়ি বিলি করলেন তিনি। এই পর্ব চুকিয়ে রাতে কামারহাটিতে ত্রাণ বণ্টন করলেন তৃণমূল বিধায়ক।