মেট্রোকে কাজের অনুমতি দিয়েছিল পূর্ত দফতর
মাঝেরহাট ব্রিজের পাশেই চলছিল জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রোর কাজ। ওই মেট্রো প্রকল্পের কাজে ভাইব্রেশনের প্রভাব অর্ধশতাব্দী প্রাচীন মাঝেরহাট ব্রিজে পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার।
বুধবার দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে আসেন, মেট্রোর কাজ চলার সময়ে মনে হত যেন ভূমিকম্প হচ্ছে।
তদন্ত কমিটি রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রোর কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে বলে এদিন নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মেট্রোর কাজে যদি ব্রিজের ক্ষতি হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে কাঠগড়ায় পূর্ত দফতরও। কারণ, তারাই তো মেট্রোকে কাজের অনুমতি দিয়েছিল
মাঝেরহাট ব্রিজ লাগোয়া এলাকায় মেট্রো প্রকল্পের কাজের কী প্রভাব পড়তে পারে? নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় তা কি খতিয়ে দেখে পূর্ত দফতর?
মেট্রো প্রকল্পের পাইলিং চলার সময় কম্পন হওয়া স্বাভাবিক। ব্রিজে তার কোনও প্রভাব পড়ছে কিনা তা কি পরীক্ষা করেছিলেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা?
নিয়মিত পরীক্ষা -নিরীক্ষা করা হয়ে থাকলে, কেন ব্রিজের ভগ্নস্বাস্থ্য নজর এড়িয়ে গেল পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের?
প্রশ্নগুলো উঠছেই। পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা আরও একটু আগে সতর্ক হলে হয়তো এড়ানো যেত বিপর্যয়। হঠাত্ থমকে যেত না জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পের কাজ।