মামাবাড়ি গেলে এই দোকানের চপ-মুড়ি খেতেন মমতা, গাড়ি থামিয়ে কিনলেন ২০টি চপ
প্রসেনজিত্ মালাকার: বাড়ির কেয়ারটেকারের ছেলের বিয়ে উপলক্ষে বীরভূমের কুসুম্বা গ্রামে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মামবাড়িতেও ঢুঁ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার পথে রাস্তার ধারে একটি দোকান থেকে কিনলেন খান কুড়ি চপ।
ছোটবেলায় প্রায়শই বীরভূমের কুসম্বা গ্রামে মামাবাড়িতে যেতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ ৫ বছর আবার মামাবাড়িতে হাজির হলেন ভাগ্নী।
মমতার মামার বাড়ির পাশেই থাকেন কেয়ারটেকার। তাঁর ছেলের বিয়ে উপলক্ষেই সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছোটবেলায় এখানকার একটি দোকান থেকে চপ-মুড়ি কিনে খেতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সর্বেশ্বর বাউড়ির দোকান আজও ভুলতে পারেননি তিনি।
মামবাড়ি থেকে ফেরার পথে সর্বেশ্বরের দোকানের সামনে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যের খোঁজখবরও নিলেন। তাঁর দোকানটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতিও দেন।
শুধু ঘুরে দেখাই নয়, ছোটবেলার মতো এদিনও প্রায় কুড়িটি চপ কিনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সর্বেশ্বর বাউড়ি বললেন, মেরেকেটে ২০টাকা দাম হবে। তবে পাঁচশো টাকা দিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুরনো দিন স্মরণ করে সর্বেশ্বর বাউড়ি বলেন,''তখন এলাকায় এই একটিই তেলেভাজার দোকান ছিল। এখান থেকে চপ যেত মমতার মামাবাড়িতে''।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেও যেভাবে তাঁকে মনে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সে কারণে আপ্লুত সর্বেশ্বর বাউড়ি। তাঁর কথায়, কাউকে এনআরএস বা পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় কালীঘাটে গিয়েছেন বহুবার। ব্রিগেডেও গিয়েছিলেন।