লোকসভার যুদ্ধে ঘাসফুলের বিজয়কেতন ওড়াতে মমতার ভরসা এই ত্রয়ী
নিজের তিন বিশ্বস্ত সৈনিককে নিয়ে লোকসভার যুদ্ধে নামার স্পষ্ট বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তৃণমূলের ভবিষ্যতের পথও দেখালেন দলনেত্রী।
শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ববি হাকিমের উপরেই ভরসা করছেন তৃণমূল নেত্রী। কোর কমিটির বৈঠকে যে রদবদল করলেন, তাতে এই সংকেতই মিলেছে।
একাধিক জেলার দায়িত্বে থাকা সুব্রত বক্সি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল কোর কমিটির বৈঠকে এদিন একাধিক নতুন কমিটি তৈরি করে দেন মমতা। তাতে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নতুন সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী। তাঁকে সাহায্য করবেন অভিষেক।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ একাধিক জেলার দায়িত্ব পাওয়ায় ফিরহাদ হাকিমেরও গুরুত্ব বেড়েছে। পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকবেন ফিরহাদ হাকিম ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। ফিরহাদ হাকিমকে সহযোগিতা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ দিনাজপুরের বাড়তি দ্বায়িত্বে ফিরহাদ হাকিম।
নদিয়া জেলার বাড়তি দায়িত্বে শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার বাড়তি দায়িত্বও পেয়েছেন শুভেন্দু।
কোচবিহার জেলার বাড়তি দায়িত্ব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুব্রত বক্সির সঙ্গেই কোচবিহার জেলা দেখবেন তৃণমূলের সাংসদ।
জানুয়ারির ব্রিগেড সভার প্রচার কমিটিরও আহ্বায়ক শুভেন্দু, যুগ্ম-আহ্বায়ক অভিষেক।
এর আগেও মমতা একাধিকবার স্পষ্ট করেছেন, তাঁর পরেও তৃণমূলকে এগিয়ে দেওয়ার মতো নেতা তৈরি করে রেখেছেন তিনি। নাম করেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী ও ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এর পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই যে দলীয় সংগঠনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাজা রক্ত সঞ্চারের চেষ্টা করছেন তা স্পষ্ট বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।