সতীর্থের পাশে মমতা, চোখে জল নির্মলের! হাসপাতালের বেডে শুয়েই `দিদি`র চিঠি পড়লেন মন্ত্রী
তন্ময় প্রামাণিক: এভাবেও একজন মুখ্যমন্ত্রী তার সহকর্মীকে মনে রাখেন! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো কেক, মোমবাতি আর জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছাল এসএসকেএম হাসপাতালে কার্ডিয়লজি আইসিইউ কেবিনে। সেখানেই হাসপাতালের বেডে শুয়ে বুধবার জন্মদিন পালন করলেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী তথা তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা নির্মল মাজি।
কিছুদিন আগেই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নির্মল। প্রাণ বাঁচাতে অস্ত্রোপচার করতে হয়। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন নির্মল। দিদির পাঠানো জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা পড়তে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেললেন রাজ্যের শ্রম ও প্রতিমন্ত্রী তথা তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা নির্মল মাজি। নির্মল হাসপাতালের বেডে শুয়ে। কিছুদিন আগেই অস্ত্রোপচার হয়েছে মস্তিষ্কে।
অস্ত্রোপাচারের পর জন্মদিন পালন করলেন দিদির পাঠানো কেক কেটে, মোমবাতি জ্বেলে। পাশে রইল দিদির পাঠানো ফুলের বুকে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে ভর্তি করানো হয়েছিল বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি। সেখান থেকে নির্মল কে পাঠানো হয় কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিনে।
১৮ দিন হয়ে গেল এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মন্ত্রী। আপাতত সুস্থ হওয়ার পথে। বুধবার মাথায় অস্ত্রপচার এর জায়গার স্টিচের বেশকিছুটা অংশ কাটা হয়েছে। স্টিচের বাকি অংশ আগামিকাল বৃহস্পতিবার কাটা হবে।
আবেগ প্রবণ হয়েই নির্মল মাজি এদিন বলেন, "আমি দিদির কাছে ঋণী। কতটা বলতে পারব না ভাষা দিয়ে। প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলাম। প্রতি মুহূর্তে দিদি খোঁজ নিয়েছেন। আমার মায়ের মত। দিদির পরিবারও খোঁজ নিয়েছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আমার মায়ের দেখভাল করেছেন। ববি, তাপস রায় সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। বাড়ি ফিরেই দলের ও সরকারের কাজে ফিরবো।" তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ৪ বার মস্তিষ্কে স্ক্যান ও MRI করা হয়েছে। ৪ বার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ। এখন বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়।