টোকেনে `না`, মাস্ট হচ্ছে স্মার্ট কার্ড; মেট্রোর চাকা গড়ানো এখন সময়ের অপেক্ষা
শ্রেয়শী গঙ্গোপাধ্যায়: আনলক ৪-এ ফের ঘুরতে চলেছে মেট্রোর চাকা! সে ইঙ্গিত মিলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথায়। তিনি জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে রেল পরিষেবা চালু করা যেতে পারে। তবে, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই তা করতে হবে। করোনা বিধি মেনে বিপুল সংখ্যক যাত্রীকে দিনের পর দিন কীভাবে চালনা করা যাবে তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে মেট্রো চালানোর জোর কদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন(DMRC)। সূত্রের খবর, কলকাতা মেট্রো চালুর জন্যও রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের সুরক্ষা এবং ট্রেনের সংখ্যা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে করোনা আবহে ২২ মার্চের পর এই প্রথম চলবে মেট্রো। কিন্তু, থাকবে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। অদৃশ্য শত্রুকে রুখতে মেনে চলতে হবে একাধিক বিধি নিষেধও।
টোকেনে না: ব্যবহার করা যাবে না টোকেন। ভরসা শুধুই স্মার্ট কার্ড। টোকেন ব্যবহার করলে থেকে যেতে পারে সংক্রমণের সম্ভাবনা। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিল্লি কর্তৃপক্ষ। সূত্রে খবর, একই নিয়ম কার্যকর হবে কলকাতা মেট্রোতেও। অনলাইনে রিচার্জ করা যাবে স্মার্ট কার্ড। তবে যাঁদের হাতে এই মুহুর্তে স্মার্ট কার্ড নেই, তাঁরা কাউন্টার থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন কার্ড।
মাস্ক মাস্ট: মাস্ক ছাড়া নৈব নৈব চ। মাস্ক পরতেই হবে যাত্রীদের। মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্বও। জানা গিয়েছে, মাস্ক ছাড়া মিলবে না প্রবেশের অনুমতি।
চলবে না হুড়োহুড়ি : দিল্লি মেট্রো রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধিক সময়ের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে মেট্রো। যার ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই মেট্রোয় উঠতে পারবেন যাত্রীরা। এড়ানো যাবে অযথা হুড়োহুড়ি। সেই পথে কি কলকাতাও হাঁটছে?
সকলের জন্য স্যানিটাইজার: স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরেই মিলবে প্রবেশের অনুমতি। স্টেশনে ঢোকার আগে থাকবে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মেট্রোর ৩০ টা স্টেশনে স্যানেটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মে থাকবে তিনটে করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মেশিন। মোট ছটা করে মেশিন থাকবে প্রত্যেক স্টেশনে। এক্ষেত্রে যাত্রীরা স্টেশনে ঢুকেই মনে করে হাত স্যানিটাইজ করে নিতে পারবেন।
থার্মাল স্ক্যানিং: থার্মাল স্ক্যানিংয়ে প্রবেশযোগ্য তাপমাত্রা এলেই তারপর মিলবে প্রবেশের অনুমতি। স্টেশনে ঢোকার আগে থার্মাল স্ক্যানিং হবে সকলের। কিন্তু এখানেই থেকে যাচ্ছে বিপত্তি। "নিউ নর্মাল" পরিস্থিতিতে খুলেছে একাধিক অফিস। ফলে মেট্রোয় চাপ বাড়বে অফিস যাত্রীদের। সেক্ষেত্রে এই অসংখ্য যাত্রীদের থার্মাল গানের মাধ্যমে উষ্ণতা পরিমাপ করা কার্যত অসম্ভব। তাই বিকল্প ভাবছে মেট্রো। ক্যামেরার মাধ্যমে সেনসরকে কাজে লাগিয়ে চলছে তাপমাত্রা মাপার পরিকল্পনা। কিন্তু মেট্রোর রোজগারে ভাটা, তাই এই ব্যয়বহুল ব্যবস্থা আদৌ কি সম্ভব! সেখানেও উঠছে প্রশ্নচিহ্ন।