দেশ জুড়ে জ্বলছে গণচিতা, করোনায় মৃত মায়ের দেহ নিয়ে হন্যে হয়ে ঘুরছে ছেলে
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিতীশ কুমার, দিল্লির বাসিন্দা। হন্যে হয়ে খুঁজছে একটু জায়গা। যেখানে মায়ের দেহ দাহ করতে পারবে সে। কিন্তু কোথায় আর জায়গা।
মড়ক লেগেছে যে। কান্নার শব্দে যেন থমকে আছে শহর। প্রিয়জনকে করোনায় হারাতে দেখে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে তাবড় তাবড় ঝাঁ চক চকে শহরগুলি। ধোঁয়া ঢাকছে শ্মশানের আকাশ। একের পর এক দেহ পুড়ছে নেই কোনও জায়গা। শ্মশানের সামনে লম্বা লাইন। যার সঙ্গে মিল নেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্টে, অভিযোগ একাংশের। রোদে গরমে মৃত দেহ নিয়ে গোটা একটা দিন কী করে দাঁড়িয়ে থাকা যায়! উত্তর নেই। কবর স্থানেও মিলছে না কোনও জায়গা।
নিতীশ জানিয়েছে, তার মা করোনায় মারা গিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে পোড়ানোর জন্য রাজধানীতে মিলছে না জায়গা। এরপর অনেক খুঁজে বৃহস্পতিবার কুমার উত্তর-পূর্ব দিল্লির সীমাপুরিতে শ্মশান সংলগ্ন পার্কিংয়ে একটি অস্থায়ী জায়গায় দাহ করা হয়।
প্রত্যেকটা শ্মশান থেকে জানানো হয়েছে, নয় কাঠ শেষ, নয়ত বা জায়গা নেই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধরা পড়েছে একই ছবি।
শ্মশানে কর্মরত এক স্বেচ্ছাসেবক জানাচ্ছেন, গত বছর করোনাকালে প্রত্যেকদিন খুব বেশি হলেও ১৮ থেকে ২০ জনকে দাহ করা হয়েছিল। এ বছর সেই সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৭৮ থেকে ৮০ তে।
শহীদ ভগত সিং সেবা দলের চিকিৎসক জিতেন্দ্র সিং বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে ৬০ টি মরদেহ পার্কিংয়ের অস্থায়ী কার্যালয়ে দাহ করা হয়েছিল এবং আরও ১৫ জন অপেক্ষায় ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, "দিল্লির কেউ কখনও এ দৃশ্য দেখেননি। পাঁচ বছর থেকে শুরু করে ১৫ ও ২৫ বছরের একের পর একজনের শেষকৃত্য করা হচ্ছে। নবদম্পতিদের কবর দেওয়া হচ্ছে। "