করোনা মোকাবিলায় অতীন-শান্তনুকে ফুল মার্কস মেয়র ফিরহাদের, আশঙ্কার তালিকায় ৪টি ওয়ার্ড
নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনের দুটি পর্যায় অতিক্রান্ত। আজ থেকে শুরু তৃতীয় পর্যায়। শহরের বেশ কিছু এলাকা দুই পর্বের লক ডাউনে নিজেদের করোনামুক্ত করতে পেরেছে। কিছু এলাকা নিজেদের চেষ্টায় কমাতে পেরেছে আক্রান্তের হার। আবার একাধিক এলাকা সেভাবে লকডাউনের ফায়দা তুলতে পারেনি। সেখানে আক্রান্তের হার কমেনি। সোস্যাল ডিসট্যান্সিং তেমনভাবে কার্যকর করার ক্ষেত্রে অনেক ফাঁক রয়ে গিয়েছে। মূলত এই সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিয়ে আজ দীর্ঘ বৈঠক করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।
বৈঠকে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ, স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিক ও সুফল না পাওয়া ওয়ার্ড গুলি যে যে বরোর অধীন সেই সব বরো চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। কেন তারা লকডাউনের ফায়দা তুলতে পারলেন না? নির্দিষ্ট করে এক-একজন কাউন্সিলরের কাছ থেকে জানতে চান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পরিকাঠামোর অভাব? বুঝতে অসুবিধা? এলাকায় নিয়ন্ত্রণের অভাব? ঠিক কী কী ফ্যাক্টর এই ব্যর্থতার পিছনে কাজ করেছে? তা এইসব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের কাছে একে একে জানতে চান মেয়র।
বৈঠকের নির্যাস থেকে উঠে আসে মূলত ৫টি পয়েন্ট। তারপরই ক্ষুব্ধ মেয়র বলেন, "কিছু কাউন্সিলরের মাইক্রো প্ল্যানিংয়ে ভুল। অনেকে নিজের এলাকার বস্তিতে ঢোকেননি। বাইরে থেকে জেনে চলে এসেছেন। এভাবে কোনওদিন আপনারা রেডকে গ্রিন করতে পারবেন না।"
বলেন, "এলাকায় সামান্য জ্বর হলেই কাউন্সিলরকে লোক পাঠাতে বলা হয়েছিল। অনেকে পাঠাননি। তারপর এলাকাবাসী কখনও পুলিস, কখনও হাসপাতালে ফোন করার পর রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। এখনও সময় আছে, আপনারা তালিকা তৈরি করুন। এলাকার বদনাম হবে বা এলাকায় আতঙ্ক ছড়াবে, এসব ভেবে তথ্য গোপন করে তালিকা তৈরি করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে।"
২৬, ২৭, ২৮, ২১ এই সমস্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের কাজ আশানুরূপ নয় বলে বৈঠকে ক্ষোভপ্রকাশ করেন ফিরহাদ হাকিম। জোড়াবাগান, গিরীশ পার্ক, সুকিয়া স্ট্রিট ও নারকেলডাঙা এলাকায় নজরদারির অভাব হয়েছে। কাউন্সিলররা ঠিক মতো এলাকায় ঘোরেননি। ঠিক তথ্যও দেননি বলে জানান মেয়র। তবে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে অতীন ঘোষ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে শান্তনু সেন দারুণ কাজ করেছে। খুব খারাপ অবস্থা ছিল। কিন্তু এখন একদম সব পরিষ্কার করে দিয়েছে বলে প্রশংসা করতে শোনা যায় মেয়রকে।