২১ বছরের কেরিয়ারে ইতি, বুটজোড়া তুলে রাখলেন মেহতাব হোসেন
একটামাত্র আফসোস। আর সেটা নিয়েই অবসরে যেতে হল তাঁকে। আই লিগ জেতা হয়নি। শুধু আই লিগের ট্রফিটা পেলেই তাঁর কেরিয়ারের ষোলো কলা পূর্ণ হয়ে যেত হয়তো। কিন্তু এক জীবনে সবার সব কিছু পাওয়া হয় না। মেহতাব হোসেনেরও হয়নি।
১৯৯৮ সালে কালীঘাট ক্লাব থেকে যাত্রা শুরু। যাত্রাপথে ময়দানর দুই প্রধান ক্লাবেই খেলেছেন তিনি। খেলেছেন জাতীয় দলের হয়েও। তবুও কোথাও একটা যেন তাঁর জার্সির পিছনে লাল-হলুদ রঙের ছটা লেগেই রয়েছে। সমর্থকরা তাঁকে ভালবেসে বলেন, ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে। সেই মেহতাব হোসেন বুটজোড়া তুলে রাখলেন এবার।
২০০৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত খেলেছেন ইস্টবেঙ্গলে। গত মরশুমে ফিরে আসেন মোহনবাগানে। ২১ বছরের সাফল্যে ভরা কেরিয়ারের ইতি টানলেন সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে।
মাঝমাঠে তিনি থাকা মানে যেন বাড়তি ভরসা। 'লোড' নিয়ে খেলা কাকে বলে, তিনিই যেন উদাহরণ তৈরি করেছিলেন ময়দানের ফুটবলে। অবসর পরবর্তী জীবন কেমনভাবে কাটাবেন মেহতাব? মিডফিল্ড মায়েস্ত্রো সেই নিয়ে কিছু বলে গেলেন না। আপাতত পরিবারকে সময় দিতে চান তিনি।
মেহতাবের অবসরের ম্যাচে মোহনবাগান অবশ্য হারল ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে। মেহতাব চেয়েছিলেন, ঘরের মাঠে খেলে অবসর নিতে। তাই এই ম্যাচকেই বেছেছিলেন তিনি। শেষবেলাতেও মেহতাবের গলায় আই লিগ জিততে না পারার আফসোস ঝড়ে পড়ছিল। তবে ময়দানের ফুটবল সমর্থকদের কাছে মেহতাব হোসেন মানে একটা ফুটবল-যুগ। মেহতাব মানে মাঝমাঠে ভরসার শক্তপোক্ত নাম।