Mobile phones: হাতের মোবাইলটি আপনার টয়লেটের কমোডের থেকেও সাত গুণ বেশি নোংরা! বলছে রিসার্চ...
সৃজিতা মৈত্র: পাবলিক টয়লেট। নামটা শুনলেই একটা ভীষণ নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত জায়াগার কথা মাথায় আসে। তবে যদি বলি, আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন টয়লেটের সিটের থেকেও নোংরা। নিশ্চয়ই মানতে চাইবেন না। তবে সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এই ফলাফলটিই উঠে এসেছে।
সমীক্ষাটি যারা করছিলেন তাঁরা বিশেষ ধরণের একটি লাইটের ব্যবহার করেন যার মাধ্যমে মানুষের চামড়ার সঙ্গে বিক্রিয়া করবে এরকম ব্যাকটেরিয়ার খুব সহজেই হদিশ পাওয়া যায়। টয়লেটের সিটে সেই লাইটের ব্যবহার করাতে প্রায় ২০০ টি উজ্জ্বল স্পটের দেখতে পাওয়া যায়, অর্থাৎ সেই উজ্জ্বল জায়গাগুলোয় ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। কিন্তু ফোনের ওপর সেই আলো ফেলতে বিশেষজ্ঞদের মুখ হা হয়ে যায়। ফোনে ওই উজ্জ্বল স্পটের সংখ্যা প্রায় ১,৫০০। অর্থাৎ, টয়লেটের সিটের থেকে পায় ৭ গুণ বেশি।
এই প্রসঙ্গে অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাকটিরিওলজির প্রফেসর জানান, সারাদিন ধরে ঘাম, নাক মোছা রুমাল আর স্মার্টফোন, দুটোই সমান। সাধারণত সারা দিন ধরে ফোন আমাদের সঙ্গে থাকে বলেই এত পরিমাণ ব্যাকটেরিয়ার হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
তা হলে, ভাবনার বিষয় হচ্ছে স্মার্ট ফোনে এই বিপুল পরিমাণ ব্যকটেরিয়া থাকলে, আমাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভবনাও বেড়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে প্রফেসরের বক্তব্য খানিকটা আশ্বাস দিতে পেরেছে। তাঁর কথা অনুযায়ী, ফোনে থাকা অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়া সেই মানুষটার নিজের শরিরেই বিদ্যমান। তাই সেই ব্যাকটেরিয়া থেকে নিজের আলাদা করে অসুস্থ হওয়ার সম্ভবনা প্রায় নেই।
২০১১ সালে লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন এই বিষয়ক একটি পরীক্ষা করেন। তাতে দেখতে পান, ৬ টি ফোনের মধ্যে ১ টি ফোনে সেইসকল ব্যক্টেরিয়া রয়েছে যা থেকে ফুড পয়সনিংও হতে পারে।
তবে শুধু ফোন নয়। ফোনের পাশাপাশি, মানি ব্যাগ, ফোনের কেস ও আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর পরীক্ষা করে একই ফল পাওয়া গিয়েছে। দেখা গিয়েছে একটি টয়লেট সিটের থেকে মানি ব্যাগে প্রায় ১৭ গুণ বেশি ব্যক্টেরিয় আছে।