মধু পূর্ণিমা কী? কী বিশেষ তাৎপর্য এর? জেনে নিন কীভাবে এদিন অশেষ পুণ্যলাভ সম্ভব...
ওই বনে হস্তীরাজ কর্তৃক ভগবান বুদ্ধকে সেবা, বুদ্ধকে বানরের মধুদান-- এসবের কারণে এ দিনটি বৌদ্ধদের কাছে স্মরণীয় ও আনন্দ-উৎসবমুখর পুণ্যময় একটি দিন হিসেবে বিবেচিত। সেই দিনটি ছিল একটি পূর্ণিমা। যেটি ভাদ্রপূর্ণিমা বলে পরিচিত। মধুদানের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে পূর্ণিমাটি মধু পূর্ণিমা বলে বিখ্যাত হয়।
তখন বুদ্ধ কোশাম্বী ত্যাগ করে বনে গমন চলে যান। এবং সেখানেই বর্ষা যাপন করেন। সেই বনে বর্ষা যাপন কালে একটি হাতি প্রতিদিন বনের ফল সংগ্রহ করে বুদ্ধকে দান করত।
এ সময়ে হাতিটির দেখাদেখি ওই বনের একটি বানরেরও বুদ্ধকে সেবা করার ইচ্ছে জাগে।
ভাদ্র পূর্ণিমাতে সে একটি মৌচাক সংগ্রহ করে বুদ্ধকে দান করে। ওই মৌচাকে অনেক ছোট-ছোট মৌমাছি ছিল। তাই বুদ্ধ প্রথমে মধু পান করলেন না।
বানর তা বুঝতে পেরে মৌচাকটি নিয়ে সেটি পরিষ্কার করে পুনরায় বুদ্ধকে দান করলে বুদ্ধ আনন্দে মধু পান করেন।
বুদ্ধকে মধুপান করতে দেখে বানর যারপরনাই খুশি হয়। আনন্দে আত্মহারা হয়ে সে গাছের এক ডাল থেকে আর এক ডালে লাফাতে থাকে। আর তখনই হঠাৎ অসাবধানতাবশত ডাল ভেঙে বানরটি মাটিতে পড়ে যায়। খুবই আঘাত পায় এটি। এতে তার মৃত্যুও ঘটে। বুদ্ধকে মধুদান এবং বুদ্ধের প্রতি প্রসন্নচিত্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার ফলে পর বানরটির স্বর্গলাভ হয়।
এই ঘটনার স্মরণে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এই তিথিতে মধু, ফলমূল ও ভেষজ-সহ বুদ্ধদেবের পূজা করে। মধু পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে বৌদ্ধদের নানা কর্মসূচি থাকে।