Farm laws repealed: কৃষি আইন প্রত্যাহার মোদীর, এক নজরে এক বছরের কৃষক লড়াই
দীর্ঘ সমস্যা ও কৃষকদের দৃঢ় লড়াইয়ের পর অবশেষে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করল কেন্দ্র৷ এক বছর ধরে কেন্দ্রের আনা আইনের বিরুদ্ধে এই লড়াই চালাচ্ছিলেন কৃষকরা। শুক্রবার গুরুনানকের জন্মদিনে আইন প্রত্যাহারের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷
এক বছর আগে যখন তিন কৃষি আইনের কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র, তারপর প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর চালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কৃষক৷ যা পরবর্তীতে বিক্ষোভের রূপ নিয়েছিল। অশান্ত হয়েছিল রাজধানী।
প্রাথমিকভাবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ শুরু করলেও। কয়েকজন কৃষক পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে চাইলে শুরু হয় ধ্বস্তাধস্তি, মারপিট৷ অশান্তির আবহ শুরু হয় তখনই।
এরপরই দিল্লি পুলিশের লাঠিচার্য শুরু হয়। শুরু হয় জলকামান দাগা। যদিও ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকে অশান্তি। এর মধ্যে কৃষকদের একাংশ যায় লালকেল্লায়। সেখানে জাতীয় পতাকার পাশে কিষাণ মোর্চার পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল।
তবে শুধু দিল্লি নয়, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, এমনকী পশ্চিমবঙ্গেও কৃষক আন্দোলন মারাত্মকরূপ নেয়। এই ইস্যুকে সঙ্গে করে বিরোধীরাও কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে মোদী সরকারের বিরোধিতা শুরু করে৷
এরপর আসে লখিমপুরের ঘটনা। উত্তরপ্রদেশে কৃষি আইনের প্রতিবাদে একজোট হয়েছিলেন কৃষকরা৷ সেই সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপুত্রের গাড়ির ধাক্কায় নিহত হন ৪ কৃষক৷ যা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল দেশ।
এছাড়াও সিংঘু সীমান্তে দলিত কৃষকের ওপর হামলার ঘটনাও এই আন্দোলনেরই আরেক অংশ। দলিত কৃষকের ওপর নৃশংস অত্যাচারে উত্তাল হয় সীমান্ত।
এদিকে এদিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে মোদীর আক্ষেপ, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ছিল। কিন্তু কৃষি আইনের সুফলের কথা কিছু কৃষককে আমরা বোঝাতে পারিনি।’’