Online Puja Fraud: বাপ রে! বড় মা, তারা মা, ভবতারিণী, জগন্নাথদেবকে নিয়ে এ কী অনাচার কাণ্ড?
পুলিসসূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ওয়েবসাইট খুলে নৈহাটির বড় মা, দক্ষিণেশ্বর কালী মা, ঢাকা কালীবাড়ি, তারাপীঠের তারা মা, বিভিন্ন জায়গার সিদ্ধশ্বেরী মা কালী, মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের নামে অনলাইনে পুজো দেওয়ার বন্দোবস্ত করে দিত অভিযুক্ত। । (তথ্য: বিধান সরকার)
তবে এ কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট ট্রাস্ট বা মন্দির কর্তৃপক্ষের যে অনুমতি লাগে, সেটা তার ছিল না বলেই জানা গিয়েছে।। (তথ্য: বিধান সরকার)
যাঁরা আবেদন করতেন তাঁদের কাছ থেকে ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত পুজো দেওয়ার জন্য বুকিং ফি নেওয়া হত! (তথ্য: বিধান সরকার)
এর সঙ্গে মায়ের ভোগ দেওয়ার কথাও বলা হত। রিষড়ার ফেলু মোদকের মিষ্টির সঙ্গে হলদিরাম প্রভুজি ইত্যাদি বড় বড় মিষ্টান্ন দোকানের নাম করত অভিযুক্ত। যারা অগ্রিম বুকিং করতেন ভোগপ্রসাদের সঙ্গে তাঁদের ড্রাই ফুটস যেমন, কাজু-কিসমিস ইত্যাদি দেওয়া হবে বলেও জানাত সে। (তথ্য: বিধান সরকার)
২০১৯ সাল থেকেই এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্ত। তার কাছ থেকে একটি এসবিআই অ্যাকাউন্ট একটি পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট একটি বন্ধন ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের হদিশ জানা গিয়েছে। স্বামী-স্ত্রী উভয়ের নামেই বন্ধন ব্যাংকের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিশও মিলেছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে অভিযুক্তের দুটি মোবাইল ফোন, চারটি এটিএম কার্ড, সমস্ত ব্যাংকের পাসবুক ও চেকবুক। একটি ল্যাপটপও বাজেয়াপ্ত করেছে নৈহাটি থানার পুলিস। (তথ্য: বিধান সরকার)
বিদেশ থেকে এক বড় মার ভক্ত ওয়েবসাইট দেখে বড় মার ট্রাস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ট্রাস্টের সদস্যরা জালিয়াতকে ধরতে ফাঁদ পাতে। ১০০০ টাকা দিয়ে পুজোর বুকিং করে তারা। তারপর পুলিসে অভিযোগ জানায়। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি ও হুগলির রিষড়া থানার পুলিস যৌথ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে রিষড়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। (তথ্য: বিধান সরকার)