Jhargram Ram Mandir: শতাব্দী প্রাচীন রামমন্দির বাংলার ঝাড়গ্রামে, তৈরি করেন অযোধ্যারই সেবাইত...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধন। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় তাই এখন সাজ সাজ রব। এদিকে জঙ্গলমহলেও শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতি।
নোটা চোনাবেরিয়া গ্রামে এখন চরম ব্যস্ততা। কারণ এই ঝাড়গ্রামের নোটা চোনাবেরিয়াতেই রয়েছে একটি শতাব্দী প্রাচীন রামমন্দির। সেই মন্দিরে প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাম, সীতা ও বজরংবলীর পুজো হয়ে আসছে। যদিও এটি রামমন্দির হলেও রামজি আশ্রম হিসেবেই বেশি জনপ্রিয়।
আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে ঝাড়গ্রামের নোটা চোনাবেরিয়া গ্রামের রামজি আশ্রমেও বিশেষ পুজা-অর্চনা এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আশ্রম কমিটির সদস্য দেবাশিষ সুর জানান, ঝাড়গ্রাম নোটা চোনাবেরিয়া গ্রামের রামমন্দির তথা রামজি আশ্রমের সূচনা হয়েছিল শতাধিক বছর আগে।
১০০ বছরেরও বেশি সময় আগে অযোধ্যা থেকে ঝাড়গ্রামে এসেছিলেন তিলক দাস নামে এক সেবাইত। তৎকালীন নোটা চোনাবেরিয়া গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে তিনি এখানেই থেকে যান। পরে একটি আশ্রম তৈরি করেন।
কালক্রমে তৈরি করেন রামলালার মন্দির এবং একটি হনুমান মন্দির। পরবর্তী সময়ে এই স্থান রামজি আশ্রম হিসেবে পরিচিত হয়। এখানে প্রায় এক শতাব্দী ধরে রামের পুজো হয়ে আসছে। রাম নবমীতে হয় বড় উৎসব। (ছবিতে বাংলার আরেক রামমন্দিরের বিগ্রহ)
তপন কর নামে এক সেবাইত বলেন, অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন হওয়ায় ঝাড়গ্রামের অতি জনপ্রিয় ও শতাব্দী প্রাচীন এই রামমন্দির ঘিরেও তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ। আগামী ২২ জানুয়ারি কয়েক হাজার ভক্তের সমাবেশ হবে বলেই আশাবাদী আশ্রম কমিটি। (ছবিতে বাংলার আরেক রামমন্দিরের বিগ্রহ)
প্রসঙ্গত, নদিয়া জেলার মাঝদিয়া থেকে ৩ কিমি দূরে শিবনিবাস গ্রামেও ২৫৬ বছর আগের প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এক রামমন্দির! ব্রিটিশ শাসনকালে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এই রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। গুটিকয় ভক্তেরা এই রামের সেবায় জড়িত। রামমন্দিরে রয়েছে কষ্টিপাথরের রাম এবং সীতা। মন্দিরের উচ্চতা ৬০ফুট।