MS Dhoni র ১১তম বিয়ের জন্মদিন: Sakshi নন, Mahi র ফ্যান ছিলেন তাঁর মা!
২০১০ সালের ৪ জুলাই অর্থাৎ ঠিক আজকের তারিখেই সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন এমএস ধোনি। দেখতে দেখেত ধোনি দাম্পত্য জীবনের ১১ বছর কাটিয়ে দিলেন সাক্ষীর সঙ্গে। ধোনি কিন্তু রাঁচিতে বিয়ে করেননি। একদম ছোট করে ব্যক্তিগত স্তরে বিয়ের অনুষ্ঠান সেরেছিলেন দেহরাদুনে। ধোনির বিয়েতে হাজির ছিলেন তাঁর বন্ধু ও বলিউড হাঙ্ক জন আব্রাহাম।
ধোনি-সাক্ষী মধুচন্দ্রিমা সারতে গিয়েছিলেন দু'জনেরই স্বপ্নের ডেস্টিনেশন গোয়াতে। সমুদ্রে ধোনি-সাক্ষীর জলকেলির ছবি সেসময় নেট দুনিয়ায় আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়িয়েছিল।
বিয়ের পর থেকে সাক্ষী চেন্নাই সুপার কিংসের প্রতিটি ম্যাচে গ্যালারিতে হাজির থেকেছেন। ধোনি ও তাঁর দলের জন্য গলা ফাটিয়েছেন। সাক্ষী এক সাক্ষাৎকারে জানান যে, তিনি ধোনির ফ্যান ছিলেন না। সাক্ষীর মা-র পছন্দের ক্রিকেটার ছিলেন লম্বা চুলের ধোনি।
২০১৫ সালে মাতৃত্বের স্বাদ পান সাক্ষী। বাবা হন ধোনি। ফুটফুটে কন্যাসন্তান জিভা আসে তাঁদের ঘরে। দেখতে দেখেত ছোট্ট জিভাও আজ ৬ বছরের হয়ে গেল। ধোনি আসার পর থেকেই ধোনি-সাক্ষীর জীবনটা আবর্তিত হতে থাকল জিভাকে নিয়েই।
২০১৯ সালে দাঁতের মাজনের বিজ্ঞাপনে এক সঙ্গে পাওয়া গিয়েছিল ধোনি-সাক্ষীকে। সেই বিজ্ঞাপন মন ছুঁয়ে নিয়েছিল নেটিজেনদের। তারাই স্ক্রিনশট এই ছবি। ধোনি এই বিজ্ঞাপনে জানান যে, যখন জিভা হয়েছিল, তখন তিনি সাক্ষীর সঙ্গে থাকতে পারেননি। ভারতীয় দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াতে ছিলেন বিশ্বকাপের জন্য।
ধোনি নিজে সোশ্যাল মিডিয়া বিমুখ। থাকতে পছন্দ করেন প্রচারের আড়ালে। কিন্তু ধোনির ফ্যানেদের তাঁর আপডেট দেওয়ার কাজ দায়িত্ব নিয়ে করে থাকেন সাক্ষী। সে ধোনির পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটানো হোক বা বাইক নিয়ে চক্কর কাট। করোনা আবহে ধোনিকে বাড়িতে পেয়ে তাঁর সঙ্গে খুনসুটিতে মেতেছেন সাক্ষী।
দ্বিতীয় পর্বের আইপিএল শুরু হতে এখনও বেশ কয়েক মাস বাকি। তার আগে এমএস ধোনি পরিবারের সঙ্গে সিমলার বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে এলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সিমলা ভ্রমণের ছবিও রীতিমতো ভাইরাল হলো। বন্ধুবান্ধবের বেশ বড় দল নিয়েই মাহি ছিলেন হিমাচল প্রদেশে।