TMC Shahid Diwas: একুশের সমাবেশের শেষ লগ্নে হাজির মুকুল রায়, কী বললেন পুত্র শুভ্রাংশু
এখন আর ঠিকঠাক বলতে পারেন না কোন দলে রয়েছেন তিনি। একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে যাঁকে মনে করা হতো তিনি এখন অসুস্থ। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। ফের তোপসিয়ায় তৃণমূল পার্টি অফিসে গিয়ে হাতে ঘাসফুল পতাকা তুলে নিয়েছিলেন। তার পরেও রয়েছে ধন্দ। সেই মুকুল রায় একুশের সমাবেশের একেবারের শেষলগ্নে এলেন একেবারে ধর্মতলায়। মঞ্চে তখন তৃণমূল নেত্রী-সহ দলের তাবড় নেতারা।
শুক্রবার তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের একেবারে শেষদিকে ছেলে শুভ্রাংশু রায়ের হাত ধরে মঞ্চের কাছে গাড়ি থেকে নামলেন মুকুল রায়। চোখমুখ কিছুটা ফোলা, যে ভাবে হাঁটছিলেন তাতে তাঁকে দেখে অসুস্থই মনে হয়।
মুকুল রায় আসতেই তৃণমূলের নেতারা এগিয়ে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। তিনি কোন দলে রয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এদিন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু বলেন, বাবা অসুস্থ। তবুও উনি আসতে চেয়েছিলেন। তাই নিয়ে এসেছি।
গত বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় বিজেপির। ভরাডুবি এই অর্থে যে বাংলায় দুশো আসনের জিগির তুলেছিল বিজেপি। কিন্তু সাতের কোটাতেই থেমে যায় গেরুয়া শিবির। তারপরই পুরনো দলে ফেরেন মুকুল রায়। কিন্তু তাল কাটে কিছুদিনের মধ্যেই। অনুব্রত মণ্ডলকে পাশে নিয়ে মুকুল বলে বসেন, পুর নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়ী হবে বিজেপি। মুকুলের ওই মন্তব্য চোখ কপালে ওঠে কেষ্টর। তবে তিনি কোনওরকমে তা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। অনুব্রত বলেন, মুকুলদা আর সেই মুকুলদা নেই। উনি যা বলছেন তা ওঁর অসুস্থতার কারণে। উনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। উনি সুস্থ হোন এটাই ঈশ্বরের কাছে চাইছি।
সম্প্রতি পরিবারকে না জানিয়ে হঠাত্ই দিল্লি চলে যান মুকুল। এনিয়ে এয়ারপোর্ট থানায় মিসিং ডাইরিও হয়। পরে কলকাতায় ফিরে বলেন তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন। এবার আরও এক ধোঁয়াশা। সোজা ধর্মতলায় তৃণমূলের একুশের মঞ্চের কাছাকাছি। ফলে ফের জল্পনা শুরু।