এনডিএ-তে যোগ দিতে চাইছেন খোদ মমতা, বিস্ফোরক দাবি মুকুলের

Fri, 08 Mar 2019-8:46 pm,

মুকুলের শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা। বৃহস্পতিবার বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা জানিয়েছিলেন, শোভন ও বৈশাখীর জন্য দরজা খোলা। যেদিন মনে করবেন, সেদিন বিজেপিতে আসবেন। সিদ্ধান্ত ওনাদেরই নিতে হবে। আর শনিবার আরও এক কদম এগিয়ে বিস্ফোরক দাবি করল রাজ্য বিজেপি। 

বছর দেড়েক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন মুকুল রায়। তাঁর হাত ধরেই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, প্রাক্তন ছাত্র নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা ও ভারতী ঘোষরা। জল্পনা, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দিতে পারেন গেরুয়া শিবিরে। এমনকি যাদবপুর ও ডায়মন্ড হারবারে তাঁদের প্রার্থী করা হতে পারে বলেও খবর। শোভন-বৈশাখীর যোগদানের ইঙ্গিত বৃহস্পতিবারই দিয়েছিলেন রাহুল সিনহা। 

শোভন ও বৈশাখী কবে আসবেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নে মুকুলের জবাব, ''দুটো নাম কেন তোলা হচ্ছে? অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন। অনেক লোক বসে আছে। কেউ বলছেন, ২০১৯টা দেখে নি, কেউ বলছেন, আর একটু অপেক্ষা করি। বাংলায় পুলিস রাজ চলছে। দল ছাড়লেই মামলা করা হচ্ছে। সৌমিত্র বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ৯টা মামলা করা হয়েছে। জেলা সভাপতির কথা খাটছে না। পুলিস সুপার ও জেলাশাসকদের দিয়ে দলত্যাগ আটকাতে চাইছেন মমতা। এত বড় লাইন পড়বে যে অফিসে ঢুকতে পারবেন না''।  

এরপরই মুকুলের বিস্ফোরক দাবি, অনেকেই আসতে চাইতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ চাইছেন, কীভাবে এনডিএ-তে যোগ দেওয়া যায়।

পুলওয়ামার পর জওয়ানদের রক্ত নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাল্টা এদিন মুকুল রায় বলেন, ''উনি আগে ঠিক করুন ভারতের পক্ষে না পাকিস্তানের পক্ষে। সারা ভারতের মানুষ দেখেছেন ভারতের বর্তমান সরকারের চোয়াল কতটা শক্ত। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমার বুকে আগুন জ্বলছে, এর বদলা নেব। জঙ্গিঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা। সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন বাহিনীকে। তাই ভারতের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। মুম্বই হামলার পর  সেনা গিয়েছিল তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে, কিন্তু তখন সেটা সম্ভব নয় বলেছিলেন তিনি''।

সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকার করে নিয়েছে, রাফাল নথি প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে খোয়া গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে মমতা খোঁচা দিয়েছিলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রক সামলাতে পারে না, দেশ কীভাবে সামলাবে?

এদিন মুকুলের পাল্টা দাবি, কলকাতা হাইকোর্টে ডিএ বেতন সংক্রান্ত হারিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। বারাসতের গোবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় খুন হয়েছিলেন। ৩০২ ধারায় মামলা হয়েছিল। সেই মামলার ফাইল কোথায় গেল? মমতা বলুন মামলার ফাইলটি কোথায় গিয়েছে? অন্য লোকের দিকে আঙুল তোলার আগে নিজের ঘর সামলান। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link