সংগ্রহশালা থেকে পর্যটকদের আবাস, ভাসমান ক্যাফেটেরিয়ায় সেজে উঠল বহরমপুর
ঠিক যেন মিনি মুর্শিদাবাদ। যেখানে এক নজরেই দেখে নেওয়া যাবে নবাবি জেলার সৃষ্টি,কৃষ্টি, সংস্কৃতি। যারা ইতিহাস কে ভালোবাসেন, যারা ভ্রমন পিপাসু তাদের জন্য হাতছানি দিচ্ছে নবাবি শহর বহরমপুর। মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যটন মানচিত্রে নয়া ঠিকানা মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ সংলগ্ন প্রাঙ্গন। যে প্রাঙ্গণ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়-রেজাউল করিম সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গনের রুপ নিয়েছে। দুর্গা পুজোর আগে এই উপহার বঙ্গবাসীর কাছে তুলে ধরল মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ।
মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন ২০ নভেম্বর ২০১৯- অতিমারির মধ্যেও কাজ থেমে থাকেনি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শেষ হয়েছে কাজ। সুসজ্জিত এই প্রাঙ্গণে কী নেই। ৬ কোটি টাকার প্রকল্পে ৮০০ আসনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রবীন্দ্র-নজরুল অডিটোরিয়াম রয়েছে, ১২ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পর্যটক আবাস তৈরি হয়েছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দুটি উৎসব কক্ষ, আবুল বরকত মুক্ত মঞ্চ, ১৫০ আসনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভোজন কক্ষ ও সন্মেলন কক্ষ তো রয়েছে, আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে ভাসমান ক্যাফেটেরিয়া, রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় পুরাতাত্বিক সংগ্রহশালা, রামব্রক্ষ্ম স্যান্যাল জীব বৈচিত্র্য সংগ্রহশালা।
শিশু ও প্রজাপতি উদ্যান সহ জৈব বৈচিত্র্য উদ্যান , টুরিষ্ট গাইড সেন্টার এবং স্বনির্ভর দল পরিচালিত বিক্রয় কেন্দ্র। এক কথায় অবাক করা এই কর্মকাণ্ডে জেলার পর্যটন মানচিত্রে নয়া ঠিকানা হতে চলেছে এই প্রাঙ্গণ।
রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় পুরাতাত্বিক সংগ্রহশালায় থাকবে বিভিন্ন পুরাবস্তু, প্রাচীন মূর্তি, প্রাচীন শিলা, মন্দিরের অংশ, প্রাচীন মুদ্রা, পান্ডুলিপি, পুঁথি, পুরান মসলিন, বালুচরী, শিল্পসামগ্রী, দ্রষ্টব্য বিভিন্ন ঐতিহাসিক ইমারতের রেপ্লিকা, জেলার মনীষীদের জীবন আলেখ্য, তথ্যচিত্র প্রদর্শন কক্ষ।
সমগ্র প্রাঙ্গনটি পুরোমাত্রায় চালু হয়ে যাবে পূজোর আগেই। মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যটন মানচিত্রে এটি একটি নতুন ও উজ্বল সংযোজন, যা বলাই বাহুল্য।