৩৬০ ডিগ্রি! মোদীর `মন কি বাত` নিয়ে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে
ত্রিপুরায় বামেদের উত্খাত করার পর আনন্দের জোয়ারে ভাসতে নারাজ মোদী-শাহ। দলের স্বর্ণযুগ কবে আসবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সেনাপতি। অমিত শাহর থেকেও এক ধাপ উপরে উঠেছেন নরেন্দ্র মোদী।
অমিত শাহকে নিজের মনের ইচ্ছার কথা প্রকাশ্যে শনিবার জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। কী সেই মনোবাঞ্চা? ৩৬০ ডিগ্রি দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী। এই ৩৬০ ডিগ্রি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা। কী এই ৩৬০ ডিগ্রি?
ত্রিপুরা বিজয়ের পর দেশের ২০টি রাজ্যের ক্ষমতায় এনডিএ। মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডও যুক্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এটাই কি দলের স্বর্ণযুগ? অমিত শাহের কথায়, 'এখনও স্বর্ণযুগ আসেনি।'
কবে আসবে স্বর্ণযুগ? বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কথায়,''ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল জয়ের পরই আসবে স্বর্ণযুগ।'' অন্যদিকে কর্নাটককে জয়ের তালিকায় ধরেই রেখেছেন অমিত শাহ।
অমিতের সুরেই সদর দফতরে মোদী ঘোষণা করে দিলেন, দলের কর্মী হিসেবেই ৩৬০ ডিগ্রি দেখতে চান। প্রধানমন্ত্রীর কথায়,''কেরল ও বাংলায় আমাদের কর্মীরা রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন। তাঁদের হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে। আমি ৩৬০ ডিগ্রি দেখতে চাই।''
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এই ৩৬০ ডিগ্রি অর্থাত্ গোটা ভারতেই গেরুয়া-রাজ প্রতিষ্ঠিত করা। কাশ্মীর থেকে কেরল ও গুজরাট থেকে নাগাল্যান্ডে বিজেপিকে ক্ষমতায় দেখতে চান মোদী। আদতেই কংগ্রেসমুক্ত ভারত।
অনেকে বলছেন, এর আরও একটা ব্যাখ্যা রয়েছে। শ্যামাপ্রসাদের হাত ধরেই জনসঙ্ঘের সূচনা। পশ্চিমবঙ্গে এক বাঙালির হাতেই রোপন হয়েছিল আজকের বিজেপির বীজ। সেই বীজ অঙ্কুরিত হয়ে আজ মহীরূহ। গেরুয়া রেখা টানা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। কম্পাসে ৩৬০ ডিগ্রি টানতে গেলেও তো শুরুর বিন্দুতেই ফিরতে হয়।
শ্যামাপ্রসাদের ভূমিতে বিজেপির ভগ্নদশা দেখে আক্ষেপ করতেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। কিন্তু, গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। আজ বাংলায় প্রধান বিরোধী হিসেবে উঠে আসছে গেরুয়া শিবির।
বাংলার শক্ত ঘাঁটিতে এ বার সরকার গড়তে মরিয়া বিজেপি। ত্রিপুরার বামদুর্গ ধুলিসাত্ করার পর আত্মবিশ্বাসে ফুটছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। গোটা দেশের মতো বাংলাতেই পদ্মফুল ফুটবে কিনা, তার উত্তর দেবে সময়।