Nawabi Brinjal | Malda: নিজের চোখকে হবে না বিশ্বাস, সবচেয়ে বড় সবচেয়ে দামী এই `নবাবি বেগুন`!
রণজয় সিংহ : আমবাঙালির পাতে বেগুন অতি পরিচিত এক সবজি। ফলে বেগুনের সাথে পরিচিত সকলেই। কিন্তু জানেন কি, মাত্র একটি বেগুনের ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে ২ কেজিও হতে পারে! এমন ভাবনা হয়তো অনেক বাঙালির-ই নেই। অবিশ্বাস্য মনে হতেই পারে। তবে চলে আসুন মালদায়।
জেলার শীতকালীন ফসলের মধ্যে অন্যতম এমন ‘নবাবি বেগুন’। যা নবাবগঞ্জের বেগুন নামে পরিচিত। দেখতে অনেকটা বোতলের মত। অনেকেটা লাউয়ের মতো। তবে মালদায় সর্বত্র-ই আবার পাবেন না এই বেগুন। এই বিশাল বেগুন পাওয়া যায় মালদার পুখুরিয়ার রাজাপুর গ্রামে।
মূলত রাজাপুর গ্রামের জমিতেই চাষ হয় এই বেগুন। এছাড়াও ওই গ্রামের পার্শ্ববর্তী পুরাতন মালদা মহিষবাথানী,গাজোল ব্লকের পান্ডুয়া এলাকায় কিছু পরিমাণ জমিতে চাষ হয় এই নবাবি বেগুন। এই এলাকার কৃষকরা-ই চাষ করেন এই নবাবি বেগুনের। এই প্রজাতির বেগুন আর অন্য কোথাও চাষ হয় না।
প্রতিবছর কৃষকরা এই নবাবি বেগুনের বীজ সংরক্ষণ করে রাখেন। পরবর্তীতে সেই বীজ রোপন করেন কৃষকরা নিজেই। এই প্রজাতির বেগুনের বীজ অন্য কোথাও কিনতেও পাওয়া যায় না। প্রাচীনকাল থেকেই এই বেগুনের চাষ হয়ে আসছে মালদায়। এমনটাই দাবি কৃষকদের।
একসময় পুরাতন মালদা ব্লকে মহানন্দা নদীর তীরে নবাবগঞ্জে বিশাল হাট বসত। কৃষকেরা ওই হাটেই এই বিশাল বেগুন বিক্রি করতেন। সেই হাটের নাম অনুসারেই এই বেগুনের খ্যাতি। তাই এই বেগুনেরও নাম হয় নবাবগঞ্জের বেগুন। এখনও এই নামেই পরিচিতি বিশাল এই বেগুনের।
মালদা জেলার উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার তিনটি ব্লকের বেশ কিছু গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে নবাবি বেগুন চাষ হয়। কিন্তু গতানুগতিক চাষের ফলে ধীরে ধীরে এই বেগুনের ওজন অনেকটাই কম যাচ্ছে। ৮০০ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত হয় একটি বেগুনের ওজন।
বেগুনগুলিতে বীজ থাকে প্রায় ৫০ গ্রাম। অন্য কোথাও এই বেগুন চাষ না হওয়ার কারণ, মাটির উর্বরতা ও আবহাওয়া। মূলত শীতকালেই পাওয়া যায় এই বেগুন। বর্তমানে এই নবাবি বেগুনের বাজার দর ১০০ টাকা কেজি।