১ এপ্রিল থেকে বদলে যাচ্ছে আয়কর আইন, কী বদল হচ্ছে? জেনে নিন
গত বাজেটে কর কাঠামোয় একাধিক পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন অরুণ জেটলি। বেতনভোগীদের সুবিধা দিতে 'স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন'-এর প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এবার চালু হতে পারে সেই ব্যবস্থা।
পরিবহণ ভাতা ও মেডিক্যাল পরিশোধের উপরে ৪০ হাজার টাকা ছাড়ের ঘোষণা করেছেন অরুণ জেটলি। এর ফলে উপকৃত হবেন ২.৫ কোটি চাকুরিজীবী। কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর দফতর জানিয়েছে, এই ছাড় পেতে কোনও নথি বা প্রমাণ দিতে হবে না। এই ব্যবস্থাই আদতে 'স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন'।
পরিবহণ ও মেডিক্যাল ভাতা করযোগ্য
বছরে ৪০ হাজার টাকা ছাড় দিলেও করের বোঝা বেড়েছে চাকুরিজীবীদের। চিকিত্সা খরচ পরিশোধের ক্ষেত্রে কর ছাড়ের সীমা বছরে ১৫ হাজার টাকা হতে চলেছে। চলতি নিয়মে পুরো খরচটাই করমুক্ত ছিল। পাশাপাশি, পরিবহন ভাতার ক্ষেত্রেও প্রতি মাসে খরচের সীমা ১৬০০ টাকায় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও এতদিন কোনও উর্দ্ধসীমা ছিল না।
৪ শতাংশ সেস
বর্তমান ৩ শতাংশ শিক্ষা সেসের পরিবর্তে ৪ শতাংশ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেসের ঘোষণা করেছেন জেটলি।
দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী আয়
দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী আয়ের উপরে এবার কর দিতে হবে। ১ এপ্রিলের পর শেয়ার বেচলে তা করযোগ্য হবে।
প্রবীণদের জন্য কর ছাড়
ব্যাঙ্ক ও পোস্টঅফিসের মেয়াদি আমানতের সুদে কর ছাড় ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
প্রবীণ নাগরিকদের টিডিএস
১৯৪এ ধারায় ছাড়ের ক্ষেত্রে টিডিএস লাগবে না। স্থায়ী আমানত ও রেকারিং আমানতের সুদের ক্ষেত্রে এই সুবিধা মিলবে।
প্রবীণ নাগরিকদের চিকিত্সা খরচ
৮০ডি ধারায় চিকিত্সা খরচ বা বিমার প্রিমিয়ামের উপরে কর ছাড়ের সীমা ৩০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। গুরুতর রোগের ক্ষেত্রে তা ৬০ হাজার থেকে করা হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। আরও প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই ছাড় ১ লক্ষ টাকা।
মিউচুয়াল ফান্ডে লভ্যাংশ
ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডে ১০ শতাংশের ডিভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন করের প্রস্তাব দিয়েছেন জেটলি।
প্রধানমন্ত্রী বয় বন্দনা যোজনা
এই প্রকল্পে প্রবীণ নাগরিকদের বিনিয়োগে কর ছাড়ের সীমা ৭.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা।
জাতীয় পেনশন প্রকল্প-
অসংগঠিত কর্মীদের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল পেনশন প্রকল্পে ৪০ শতাংশ ছাড়।