জলেই আটকে ১ লক্ষ মানুষ! পায়ের নীচে জমি নেই লকডাউনের জেরে
করোভাইরাস পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে দূরে আটকে পড়েছেন অনেকেই। কিন্তু কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই আশেপাশের সমুদ্রে ১২৪ টি জাহাজে ভেসে রয়েছেন প্রায় এক লক্ষ মানুষ। সারা বিশ্ব জুড়েই সমুদ্রের লকডাউনের ছবিটা একইরকম। আর সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয়, জাহাজের মধ্যেই অনেক ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে ছড়াতে শুরু করেছে করোভাইরাস সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ করোনা আক্রান্ত রাষ্ট্র জাহাজের যাত্রীদের তাদের বন্দরে নামতে দিতে নারাজ।
পরিস্থিতি সবথেকে খারাপ পরিস্থিতির যে জাহাজগুলির মধ্যে তার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামের একটি বিশাল ক্রুজ শিপ। পরিসংখ্যান ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী জাহাজের প্রায় ৩০০০ যাত্রীর মধ্যে ৭১২ জন এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন যাত্রীর। জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে ক্রুজ জাহাজটি। প্রাথমিকভাবে জাহাজের মধ্যেই চিকিৎসা এবং স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করেছে জাপান সরকার। ক্রু এবং যাত্রীদের রাখা হয় আইসোলেশনে। ভাইরাস আক্রান্তদের এক এক করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে জাপান সরকার।
ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ড বন্দরেও মার্চ মাসে এক এক করে গ্র্যান্ড প্রিন্সেস ক্রুজ জাহাজ থেকে যাত্রীদের নামিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। তাদের প্রত্যেককেই রাখা হয় কড়া আইসোলেশনে। জাহাজের ২১ জন যাত্রীর করনা ভাইরাস সংক্রমণের হদিস মিলেছে।
বিভিন্ন ক্রুজ জাহাজের যাত্রীদের চিকিৎসায় নিযুক্ত চিকিৎসক মাইকেল কলহানের মতে জাহাজের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাস। তাছাড়া জাহাজে এক স্থানের মধ্যে দিয়ে বহু মানুষ যাতায়াত করার মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর হার অনেক বেশি।
স্থলে আইসোলেশনই বিরক্ত সাধারণ মানুষ। কিন্তু উপায়হীন ভাবেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বাধ্য হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সমুদ্রের জলের মাঝে জাহাজে আটকা পড়লে পরিস্থিতি যে কতটা ভয়ানক হতে পারে তা পরিষ্কার বিভিন্ন জাহাজের ছবিতে।