মমতার ভাষণের আগে ফিরতি পথে অর্ধেক কর্মী, ফাঁস করলেন পুলিস আধিকারিক
দেশের বিরোধী দলগুলির তাবড় নেতারা এসেছিলেন কলকাতায় তৃণমূলের ব্রিগেডে। ফলে এবারের ব্রিগেড সমাবেশকে ঐতিহাসিক করে তুলতে চেয়েছিল তৃণমূল। চেষ্টার কমতি ছিল না। জি মিডিয়া একটি সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করেছে, ভিড় হলেও ঐতিহাসিক ব্রিগেড বলা যাবে না।
ব্রিগেডে আজ কত লোক হয়েছে তা জানতে চেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। রীতিমতো অঙ্ক কষে সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে।
ব্রিগেডে ৫০ লক্ষ লোক আনার ঘোষণা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা পুলিসের এক সিনিয়র আধিকারিককে উদ্ধৃত করে ডিএনএ-র প্রতিবেদনের দাবি, ভিড় ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়নি। ব্রিগেডে ধারণ ক্ষমতা ৩.৫ লক্ষ লোকের। মাঠভর্তি থাকলেও ঐতিহাসিক ভিড় বলা যাবে না।
ধর্মতলা, শ্যামবাজার ও টি বোর্ডের কাছে লাগানো হয়েছিল স্ক্রিন। সেখানেও বহু মানুষ সভা দেখেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিস আধিকারিকের দাবি, প্রায় ৯ লক্ষ লোক সেই স্ক্রিনে নজর রেখেছিলেন।
শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করেছিলেন, "সিপিএম-এর শেষদিনের চেয়েও দুর্দিন এখন তৃণমূলের। পার্থবাবুর মাথার পিছনের দিকটার মতোই ফাঁকা ছিল মাঠ।"
তবে সভার মাঝপথে বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বাড়ির পথ ধরেছেন বলে দাবি ওই পুলিস আধিকারিকের। ব্রিগেডেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, ''আমি সবার শেষে বলব। আপনারা অন্য নেতাদের ভাষণ শুনুন। ৪টের আগে কোনও বাস ছাড়়বে না। অতিথিদের দেখিয়ে দিন আপনারা কতটা শৃঙ্খলাপরায়ণ''।
কলকাতা পুলিসের আধিকারিককে উদ্ধৃত করে জি মিডিয়ার প্রতিবেদনের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের আগেই অর্ধেক কর্মী-সমর্থক বাড়ির পথে রওনা দেন।
দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন, বেলা ১টা নাগাদ শ্যামবাজার দিয়ে ২০০টি বাস ফিরতি পথ ধরেছিল।
কেন এমনটা হল? দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল কর্মী রমেশ কুণ্ডর বক্তব্য, বক্তারা ইংরেজি, হিন্দি, এমনকি তামিলেও বক্তব্য রেখেছেন। স্টালিনের তামিল ভাষণের বাংলা অনুবাদও ততটা ভাল হয়নি। ফলে বোধগম্য হচ্ছিল না। কয়েকজন নেতার ভাষণ বোঝাও যায়নি।