Neeraj Chopra: তাঁদের পাঁচ বছরের সম্পর্ক ভাঙছে! নীরজের হিরে-সোনা-রুপোর গল্পে জড়িয়ে ছিলেন তিনি
দেশের সর্বকালের সেরা অ্যাথলিট হিসেবে নিজের নামটা প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন নীরজ চোপড়া। টোকিও অলিম্পিক্সে দেশের স্টার জ্য়াভলিন থ্রোয়ার সোনা জেতার পর প্যারিস অলিম্পিক্সে জিতেছেন রুপো। অভিনব বিন্দ্রার পর ব্যক্তিগত দক্ষতায় অলিম্পিক্স সোনা জয়ী দ্বিতীয় ভারতীয় তিনি। প্যারিস অলিম্পিক্সের আগেও এশিয়াড ডায়মন্ড লিগ, বিশ্ব চ্য়াম্পিয়নশপিও দেখেছে নীরজের কামাল। জাতীয় সোনাও জিতেছেন তিনি। নীরজের হিরে-সোনা-রুপোর গল্পে জড়িয়ে ছিলেন কোচ ক্লস বার্তোনিত্জ
নীরজ ও তাঁর কোচের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেল। দীর্ঘ ৫ বছরের দুরন্ত পার্টনারশিপ শেষ। ৭৬ বছরের বায়োমেকানিক্য়াল বিশেষজ্ঞ বয়স জনিত কারণেই সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আশি ছুঁই ছুঁই জার্মান বাসিন্দা জাতীয় অ্য়াথলেটিক্স সংস্থাকে জানিয়েছেন যে, তিনি আর এই কাজ করতে আগ্রহী নন।
অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার এক আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, ' দেখুন এখন ৭৫ বছর বয়সী ক্লস বার্তোনিত্জ। তিনি এখন তাঁর পরিবারের সঙ্গেই থাকতে চান এবং খুব বেশি ভ্রমণের ধকল নিতে চাইছেন না। এমন নয় যে, নীরজ এই সম্পর্ক শেষ করতে চায়, বার্তোনিত্জই আর কাজ করতে আগ্রহী নন।'
বার্তোনিৎজের কোচিংয়ে নীরজ টোকিও অলিম্পিক্সে সোনা, প্যারিস অলিম্পিক্স রুপো জিতেছেন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে এবং ডায়মন্ড লিগেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। পাশাপাশি এশিয়ান গেমসেও এসেছে সোনার পদক। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া গুরু-শিষ্য়ের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেল ২০২৪ সালে।
কখনও কুঁচকি তো কখনও হাত! নীরজের জীবন ওষ্ঠাগত করে দিয়েছে চোট-আঘাত। আর কুঁচকির চোট নিয়েই প্যারিস অলিম্পিক্সের ফাইনালে পেয়েছিলেন রুপো। এমনকী ডায়মন্ড লিগের ফাইনালেও গত সেপ্টেম্বরে রুপো পেয়েছেন তিনি। তবে সেখানেও তাঁকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি চোট। বাঁ হাতের হাড়ে চিড় ধরা সত্ত্বেও নীরজের বর্শা ৮৭.৮৬ মিটার। মাত্র এক সেন্টিমিটারের জন্য গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটার্সের কাছে সোনা হারান তিনি। গ্রেনাডার তারকা জ্য়াভলিন থ্রোয়ার ৮৭.৮৭ মিটার জ্য়াভলিন ছুড়েছিলেন। নীরজ হাতের এক্স-রে রিপোর্ট পোস্ট করেছিলেন নিজের এক্স হ্য়ান্ডেলে। যা দেখে সকলে চমকে গিয়েছিল।
'২০২৪ মরসুম শেষ হল। আমি সারা বছর ধরে যা যা শিখেছি তা পিছন ফিরে দেখলাম। রয়েছে উন্নতি, সেটব্য়াক, মানসিকতা ও আরও অনেক কিছু। আমি অনুশীলন করতে গিয়ে আহত হয়েছিলাম। এক্স-রে রিপোর্ট বলছে যে, আমার বাঁ-হাতের চতুর্থ মেটাকার্পাল হাড়ে চিড় ধরেছে। আমার জন্য আরও একটি বেদনাদায়ক চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু আমার দলের সাহায্য়ে আমি ব্রাসেলসে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি। এটাই ছিল আমার বছরের শেষ প্রতিযোগিতা। আমি ট্র্যাকেই আমার মরসুম শেষ করতে চেয়েছিলাম। যদিও আমি আমার নিজের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। আমি মনে করি, এটি এমন এক মরসুম যেখানে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমি এখন ফিরতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, পুরোপুরি ফিট হয়ে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। আপনাদের এই উৎসাহের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ২০২৪ আমাকে একজন ভালো অ্যাথলিট এবং ব্যক্তি বানিয়েছে। ২০২৫ সালে আবার দেখা হবে।'
নীরজের চোট লেগেছে মেটাকার্পাল হাড়ে। যা থাকে তালুতে। আঙুল এবং কব্জির সংযোগকারী হাড়ের নামই মেটাকার্পাল। মানব শরীরে প্রত্যেক হাতে পাঁচটি করে মেটাকার্পাল হাড় রয়েছে। যার কাজই হচ্ছে আঙুলের সঙ্গে কব্জির সংযোগসাধন। নীরজ দ্রুত ফিরে আসুক। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সকলে।