Eye Donation: ফুলশয্যার দিনেই `চক্ষুদান` নবদম্পতির, গড়লেন মানবতার উজ্জ্বল নজির!
বিধান সরকার: নতুন মানুষের সঙ্গে নতুন জীবনে পথচলার শুরুর দিন-ই চক্ষুদানের অঙ্গীকার নব দম্পতির। বাবার কাজে আরও উৎসাহ দিতে স্বামীকে নিয়ে চক্ষুদানের অঙ্গীকার করলেন মেয়ে।
বাবা জয়ন্ত গনাই 'আলোয় ফেরা'র সদস্য। 'আলোয় ফেরা' চুঁচুড়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যারা সারা বছর অন্ধত্ব দূরীকরণে কাজ করে চলে। কর্নিয়া সংগ্রহ করে মেডিকেল কলেজে দিয়ে আসে। তাদের উদ্দেশ্য, দৃষ্টিহীন মানুষদের চোখে আলো ফেরানো। নিরলস এই কাজে জয়ন্ত বাবুর মত আরও কয়েকজন প্রবীণ মানুষ রয়েছেন।
এখন চুঁচুড়ার হরিদ্রাডাঙার বাসিন্দা সৌম্য চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ে হয় জয়ন্ত গনাইয়ের মেয়ে গার্গী ঘনাইয়ের। ২২ জানুয়ারি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। বুধবার ছিল নবদম্পতির বধূবরণ ও ফুলশয্যার অনুষ্ঠান। এমন দিনেই চুঁচুড়ার 'আলোয় ফেরা' সংগঠনের উদ্যোগে নবদম্পতি চক্ষুদানের অঙ্গীকার বদ্ধ হন। আলোর ফেরার সম্পাদক উদয় কুমার পাল দুজনকেই অঙ্গীকার পত্রে সই করান।
চক্ষুদানের মত মহৎ কাজে নিজেদের যুক্ত করতে পেরে খুশি নবদম্পতি। তাঁদের কথায়, মরণোত্তর চক্ষুদানে সামিল হতে পেরে তাঁরা খুশি। সমাজে এই ধরনের কাজে যাতে আরও মানুষ এগিয়ে আসেন, তার জন্যই এই পদক্ষেপ।
চুঁচুড়ার 'আলোয় ফেরা' ২০১৮ সাল থেকে চক্ষুদানের সচেতনতা নিয়ে কাজ করছে। এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের মরণোত্তর কর্নিয়া সংগ্রহ করেছে। চক্ষুদান ও দেহদানের জন্য সারা বছরই কাজ করে তারা। এই কাজে সহযোগিতা করে শ্রীরামপুর সেবা কেন্দ্র আই ব্যাংক। 'আলোয় ফেরা'র সম্পাদক ড. উদয় কুমার পাল বলেন, চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল ও চন্দননগর শহরে মরণোত্তর চক্ষুদানের আবেদন ও সচেতনতা মূলক প্রচার করা হয় সংগঠনের তরফে।
তিনি জানান, "আমাদের পরিচিত জয়ন্ত গনাইয়ের মেয়ে গার্গী সঙ্গে চুঁচুড়ারই সৌম্য চক্রবর্তীর বিয়ের ঠিক হয়। তখনই আমাদের সংস্থার তরফে চক্ষুদানের জন্য আবেদন করা হয়। আজ সকলের সামনে আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে চক্ষুদানে অঙ্গীকার বব্ধ হল নবদম্পতি। এতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমস্ত মানুষের কাছে এই মহৎ কাজের বার্তা পৌঁছাল। আমরা চাই সৌম্য ও গার্গী-র মতো নতুন প্রজন্মের সকলে এগিয়ে আসুক।"