৩১ বছরের আগের পারিবারিক ট্র্যাজেডির কথা ছেপে দিল এক সংবাদপত্র, ক্ষুব্ধ স্টোকস
৩১ বছর আগে তাঁর পরিবারে এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল। যদিও সেটাকে ঘটনা না বলে ট্র্যাজেডি বলাই ভাল। সেই ট্র্যাজেডির কথা এতদিব প্রকাশ্যে আসতে দেননি বেন স্টোকস। কিন্তু এবার এক সংবাদপত্র সেই ঘটনা ছেপে দিল।
বেন স্টোকস সেই সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। স্টোকসের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্তা টম হ্যারিসন। জো রুটের মতো ইংলিশ তারকাও এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জাহির করেছেন।
১৯৮৮ সালে নিউ জিল্যান্ডে স্টোকসের সৎ ভাই ও বোনকে হত্যা করেন তাঁর মায়ের প্রথম স্বামী। স্টোকসের মা ডেবের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর নিজের ৮ বছরের ছেলে ট্রেসি ও চার বছরের মেয়ে অ্যান্ড্রুকে গুলি করে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন রিচার্ড ডান। সেই সময় এই ঘটনা গোটা নিউ জিল্যান্ডে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল।
ওই ঘটনার তিন বছর পর জেরার্ড স্টোকস ও ডেব দম্পতির ঘরে জন্ম নেন বেন স্টোকস। ২০০৩ সালে ১২ বছর বয়সে স্টোকসের পরিবার চলে আসে ইংল্যান্ডে। সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টোকসের মায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেননি ডান। মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন রিচার্ড ডান। রাগবি কোচ জেরার্ড স্টোকসের সঙ্গে ডেব সম্পর্কে জড়িয়েছেন শুনে তিনি আর মাথার ঠিক রাখতে পারেননি। আদালতের নির্দেশে সপ্তাহে দু’দিন বাচ্চাদের দেখভালের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ডান। সেই সুযোগেই বাচ্চাদের রাইফেল থেকে গুলি করে হত্যা করেন ডান।
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক স্টোকস বলেছেন, ‘এই ব্যক্তিগত ও দুঃখজনক ঘটনা গোপন রাখতে হয়েছে অনেক সতর্কতার সঙ্গে। তিন দশক আগের এই ঘটনার জন্য আমার পরিবারের সবাইকে অনেক ভুগতে হয়েছে। তবুও আমরা সেটা বাইরের কারও কাছে প্রকাশ করিনি। সেই সংবাদপত্র নির্বিচারে সেই ঘটনার কথা তুলে আনল। সাংবাদিকতার নামে এই বিশ্বাসঘাতকতা কাম্য নয়।’