Nirad C Chaudhuri: সেরা বাঙালির তালিকায় বিদ্যাসাগরকে না রেখে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন!
নীরদচন্দ্র চৌধুরী তথা নীরদ সি চৌধুরী মানেই বিতর্ক। অসাধারণ স্কলার নীরদচন্দ্র বাংলার নবজাগরণের অন্তিম পর্যায়ের এক বিশিষ্ট মুখ।
অজস্র বই লিখেছেন। কিন্তু একটিমাত্র বইয়ের জন্য তার ভুবন জোড়া খ্যাতি--The Autobiography of an Unknown Indian!এই একটি বইয়ের মধ্যে দিয়ে তিনি রসিকজনের মনে অক্ষয় আসন পেয়ে গেলন। একজন বাঙালি তথা ভারতীয়ের লেখা ইংরেজির মান দেখে বিস্মিত ইংরেজিভাষী গোটা বিশ্ব।
১৮৯৭ সালের আজকের দিনে, ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশের ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জে জন্ম নীরদচন্দ্রের। কলকাতার রিপন কলেজে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তাঁর সহপাঠী। ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীর হিসাবরক্ষণ দফতরের কেরানি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
তবে ক্রমশ লেখালেখির জগতে ঢুকে পড়ছিলেন। একসময়ে চাকরি ছেড়ে সাংবাদিক ও সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেই সময়ের বিখ্যাত পত্রিকা 'মডার্ন রিভিউ' 'প্রবাসী' ও 'শনিবারের চিঠি'র সম্পাদনাকর্মে যুক্ত ছিলেন। ১৯৩৭ সালে নীরদচন্দ্রের জীবনে এক বিপুল পালাবদল ঘটে। তিনি শরৎচন্দ্র বসুর (সুভাষচন্দ্র বসুর অগ্রজ) সচিব হিসেবে কাজ শুরু করেন।
১৯৫১ সালে তাঁর The Autobiography of an Unknown Indian প্রকাশিত হয়। নীরদচন্দ্র ১৯৭০ সালে ভারত ত্যাগ করে অক্সফোর্ডে পাড়ি জমান। তাঁর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল-- Scholar Extraordinary. The Life of Professor the Right Honourable Friedrich Max Muller, P.C।
কিন্তু সারাজীবনই বাংলা ও ইংরেজি এই দুই ভাষায় অক্লান্ত লিখে গিয়েছেন। ১০১ বছর পর্যন্ত বেঁচেছেন। বহুদিন পর্যন্ত, নবতিপর বৃদ্ধ অবস্থাতেও অত্যন্ত সজাগ মনের মানুষ ছিলেন। ওই বয়সে প্রকাশিত হয় তাঁর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক কাজ--Thy Hand! Great Anarch!
১৯৯২ সালে নীরদচন্দ্র ভারতীয় হিসেবে এক অসাধারণ সম্মান অর্জন করেন। তিনি ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দ্বারা Commander of the Order of the British Empire (CBE) দ্বারা সম্মানিত হন।