সামনেই ঘুরছে হিংস্র প্রাণী! পুজোয় ভয়ংকর সুন্দর এই অরণ্যে যেতে চান?
পর্যটনমরসুমকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে জঙ্গল-সংলগ্ন বনবস্তিবাসীদের জীবনের ছবিটা যাতে কিছুটা হলেও উজ্জ্বল করে তোলা যায় সেজন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই। বন বিভাগ-সহ মহিলা সেলফ হেল্প গ্রুপের সদস্যরা সকলেই এই সময়টার দিকে তাকিয়ে। জঙ্গল ভ্রমণে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে তাঁদের তরফে গ্রহণ করা হয়েছে অভিনব কিছু পদ্ধতি।
গরুমারা জাতীয় উদ্যানের একটি অংশ বুধুরাম বিট আর এখানেই রয়েছে হাতি, একশৃঙ্গ গন্ডার-সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণভূমি। তাই যন্ত্রচালিতযান চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এখানে।
এই প্রসঙ্গে বুধুরাম বিটের দায়িত্বে থাকা রেঞ্জ অফিসার ধ্রুবজ্যোতি বিশ্বাস জানান, যেহেতু জঙ্গলের এই অঞ্চলটি গণ্ডারের বিচরণভূমি সেই কারণে এই জায়গায় পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বুধুরাম বিটের রাইনো ক্যাম্প পরিদর্শনে পর্যটকদের জন্য মোষের গাড়ির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্থানীয় মহিলাদের দুটি সেলফ হেল্প গ্রুপের তৈরি পাটের চাবির রিং এবং মোবাইল রাখার ব্যাগ-সহ পাটের তৈরি বিভিন্ন সরঞ্জাম পর্যটকদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
এর মাধ্যমে বনবস্তিবাসীদের কিছুটা হলেও আর্থিক সহায়তা হবে।
পাশাপাশি পর্যটকেরাও খুশি হন। এই আদানপ্রদানের মধ্যে দিয়ে জঙ্গলের বাইরের মানুষজনের সঙ্গে জঙ্গল-সংলগ্ন বনবস্তিবাসীদের মধ্যে একটি মেলবন্ধন গড়ে ওঠার সুযোগ তৈর হয়।
তবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আক্ষেপ, জিনিসপত্রের যা দাম, বাজার যেমন অগ্নিমূল্য সেই অনুযায়ী তাঁদের হাতের কাজের দাম তাঁরা পান না। এ বিষয়ে বন দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন তাঁরা।