প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পে কাশীতে ভাঙচুর শুরু হতেই বেরিয়ে এল একের পর এক পুরনো মন্দির
বারাণসীর সাংসদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বারণসীর কাশিতে তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প বিশ্বনাথ মন্দির বিশিষ্ট ক্ষেত্র মাস্টার প্ল্যানের কাজ চলছে। আর এই প্রকল্পে খোঁড়াখুঁড়ি করতে দিয়ে বেরিয়ে আসছে পুরনো মন্দির।
এ যেন কাশীর মধ্যে লুকিয়ে থাকা আরও একটা কাশী।
কাশীর পর্যটনের উন্নতির লক্ষ্যে শুরু হয়েছে কাজ। পর্যটনের প্রসারে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির থেকে ললিতা ঘাট ও মণিকর্ণিকা ঘাট পর্যন্ত সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে বিশ্বনাথ মন্দির বিশিষ্ট ক্ষেত্র মাস্টার প্ল্যান।
এই প্রকল্পে আশপাশের ঘরবাড়ি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। সেই ঘরবাড়িগুলি ভাঙার কাজও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে বাড়ির মধ্যে মন্দিরের ছবি। লোকজন একে 'গুপ্তকাশী' বলতে শুরু করে দিয়েছেন।
ভাঙাচোরার মধ্যে মন্দির বেরিয়ে আসায় সৌন্দর্যায়নে বাধা সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
প্রকল্পের মুখ্য আধিকারিক বিশাল সিং বলেন, ''কাশী শহরে এত মন্দির থাকতে পারে আগে ধারণা ছিল না। ভাঙার পর ১৮ ও ১৯ শতকের মন্দির বেরিয়ে আসছে। এই মন্দিরগুলি দেশের ঐতিহ্য। কাশীর আসল ইতিহাস এবার প্রত্যক্ষ করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা''।
কাশীতে প্রত্যেকটি ঘরের মধ্যেই একটি করে ছোটবড় প্রাচীন মন্দির রয়েছে। কয়েকজনের মতে, মন্দিরগুলি কব্জা করে নির্মাণ করা হয়েছিল। সেগুলি সামনে আসায় কাশীর ধর্মীয় গুরুত্ব আরও বাড়বে। বিশ্বনাথের আসল শহর দেখতে পারবেন ভক্তরা।
আর এক দলের দাবি, অতীতে সব বাড়ির মধ্যেই মন্দির থাকত। এগুলি জবরদখল নয়।
মন্দিরগুলি প্রকাশ্যে আসার পর ইতিমধ্যে পরীক্ষায় নেমে পড়েছে ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ। জানা গিয়েছে, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পর এই মন্দিরগুলি নির্মিত হয়েছে। তারপর ধীরে ধীরে মন্দিরগুলির উপরেই তৈরি হয় ঘরবাড়ি। 'গোপন কাশী' আধুনিক কাশীকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে বলে আশাবাদী প্রশাসন।