বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবসে স্মরণে প্রবাদপ্রতিম নেভিল কার্ডাস

Fri, 02 Jul 2021-7:05 am,

নেভিল কার্ডাস মানেই ক্রিকেট রোম্যান্স। নেভিল কার্ডাস মানেই রক্তমাংসের ক্রিকেটকে রূপকথায় উন্নীত করার চিরন্তন কাহিনী।  

ক্রিকেট নিয়ে লেখার ব্যাপারে কার্ডাস এক অভিনবত্ব আমদানি করেছিলেন। তিনিই প্রথম ক্রিকেট সাংবাদিকতাকে উদ্ভাবনী লেখনীর মাধ্যমে পাঠকের কাছে তুলে ধরেছিলেন। এর আগে ক্রিকেট নিয়ে যারা লিখতেন তারা মূলত যা ঘটেছে তাই ব্যক্ত করতেন এবং সমালোচনা করতেন।  সমসাময়িক তো বটেই, পরবর্তী জেনারেশনের বহু ক্রিকেট সাংবাদিককে তিনি প্রভাবিত করেছিলেন।

১৯১৯ সালে তিনি ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ান পত্রিকার মুখ্য ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি অস্ট্রেলিয়াতে ছিলেন এবং সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের জন্য লিখতে থাকেন।  পরবর্তীকালে তিনি নিজের জীবনীও লেখেন।

কার্ডাস ১৯৬৪ সালে কম্যান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার সম্মানে ভূষিত হন।  ১৯৬৭ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইটহুড উপাধিও দেয়। এছাড়াও তাঁর ক্রিকেট লেখনীর একাধিক অ্যাওয়ার্ড পান তিনি।   

শুধু ক্রিকেট নিয়ে লেখাই নয়, তিনি নিজেও ক্রিকেট খেলতেন, ক্রিকেটকে অন্তর থেকে অনুভব করতেন। সেই জন্যই হয়ত ক্রিকেট নিয়ে তাঁর চিন্তাভাবনা সমসায়মিক ক্রিকেট লিখিয়েদের থেকে আলাদা ছিল। 

ক্রিকেটার হিসেবেও নেহাৎ মন্দ ছিলেন না কার্ডাস। তাঁর সমসাময়িক অনেকের মতে ক্রিকেট খেলাটাকেও পেশা করতে পারলে অনেক দূর যেতে পারতেন তিনি।  

ক্রিকেট নিয়ে একাধিক কালজয়ী বই লিখেছেন নেভিল কার্ডাস। গুড ডেজ, কার্ডাস ইন দ্য কভারস, এ ফোর্থ ইনিংস উইথ কার্ডাস, প্লে রিসিউমড উইথ কার্ডাস বইগুলি কালজয়ী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায়। 

স্যার জন ফ্রেডরিক নেভিল কার্ডাস ১৮৮৮ সালের ২রা এপ্রিল ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ৮৬ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই প্রবাদপ্রতিম ক্রিকেট সাংবাদিক। শেষ জীবনে বহু উঠতি ক্রিকেট লিখিয়ের গুরু হয়ে উঠেছিলেন কার্ডাস।  

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link