`বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক করা ঠিক নয়`, আত্মনিরীক্ষণ নীনা গুপ্তার
নিজস্ব প্রতিেদন- ফের আলোচনায় নীনা গুপ্তা। পরিচালক দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন ছবি 'সন্দীপ অউর পিঙ্কি ফরার' রিলিজ করেছে প্রাইম ভিডিওতে। ছবিতে এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নীনা গুপ্তা। তাঁর স্বামীর চরিত্রে রঘুবীর যাদব। আর এই জুটি যে এই ছবিকেও দর্শকের মনে স্থান পেতে সাহায্য করেছে, তা বলাই বাহুল্য। সমালোচকদের মতে, নীনা গুপ্তা এখন দেশের অন্যতম সেরা অভিনেতা।
রঘুবীর যাদব- নীনা গুপ্তা জুটিকে দর্শক এই আগেই দেখেছেন ওয়েব সিরিজ 'পঞ্চায়েতে'। সেখান থেকেই এই জুটির সাফল্যের শুরু।
এর আগেই নিজের গ্ল্যামার কোশেন্ট ঝেড়ে ফেলে পরিচালক অমিত শর্মার ছবি 'বধাই হো'তে ভারত জয় করেছিলেন নায়িকা। সেই পর্বে তাঁর পাশে ছিলেন গজরাজ রাও।
ছোটপর্দায় যখন নিয়মিত অভিনয় করতেন নীনা গুপ্তা, তখন সাহসী, ছকভাঙা চরিত্রে কাস্টিং হত তাঁর। 'খানদান', 'সাঁস' ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দর্শকের মন টেনেছিল। আর তার আগে থেকেই তিনি সংবাদমাধ্যমের ফেভারিট। কারণ, ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে সম্পর্ক, সিঙ্গল-মাদার হিসাবে 'মাসাবা'কে লালনপালন। কিন্তু জীবনের এই প্রান্তে দাঁড়িয়ে নীনা অনুভব করেছেন তাঁর এই সম্পর্ক ব্যক্তিজীবন ও কর্মজীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নীনা বলেছেন, 'মেয়েদের কখনোই বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো ঠিক নয়'।
তবে, ভিভের সঙ্গে সম্পর্কের সময়কে কখনও অস্বীকার করেন নি নীনা। সেই সময়ে ভারতীয় সমাজ আরও রক্ষণশীল। অনেক ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে সেদিনের সুখ স্মৃতিকে কী করে ভুলবেন তিনি।
একদিকে একা হাতে মাসাবার দেখাশোনা করা, পাশাপাশি শুটিং। কঠিন সেই সময়ই নীনাকে আরও শক্ত করেছে। মায়ের সেই দৃঢ়চেতা রূপ দেখেই বড় হয়েছেন মাসাবা। তাঁদের জীবনকাহিনির বেশ অনেকটাই দেখা গেছে নেটফ্লিক্সের সিরিজ 'মাসাবা মাসাবা'তে।
নীনা অবশ্য কখনোই মাসাবাকে তাঁর বাবার সঙ্গে যোগাযোগে বাধা সৃষ্টি করেন নি। তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন, কারণ ভিভিয়ান রিচার্ডস বিবাহিত। ওয়েস্ট ইন্ডিজে তাঁর পরিবার, সন্তান রয়েছে। সেই সম্পর্কে ঢুকে সমস্যা বাড়ানোর কোনও অভিপ্রায়ই ছিল না তাঁর।
যদিও জীবনে চলার পথে সঙ্গীর হাত ধরেছেন নীনা। বিয়ে করেছেন দিল্লির ব্যবসায়ী বিবেক মেহরাকে। দুই শহরে থেকেও সুখের সংসার তাঁদের, জানিয়েছেন নীনা।
জীবন কাটিয়েছেন বিন্দাস ভঙ্গিতে। অভিনয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত কিছু চরিত্র পেয়ে খুশিও তিনি। তবে সঙ্গে এই ভয়ও কাজ করে যে, কোনও চরিত্র সাফল্য পেলে, তার ধাঁচেই চরিত্র লেখা হতে থাকে। 'বধাই হো'র সাফল্যের পর ওই একইধরণের বেশ কিছু চরিত্রের অফার ফিরিয়ে দেন নীনা। তবে ধীরে ধীরে ভারতীয় সিনেমার অন্যধরণের মুখ হয়ে দাঁড়িয়ে ছেন তিনি। স্মিতা পাতিল, শাবানা আজমি, দীপ্তি নাভালদের সঙ্গে একসঙ্গে উচ্চারিত হত তাঁর নাম। তাঁদের অনেককেই পিছনে ফেলে এইমুহূর্তে দর্শকদের পছন্দে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন নীনা।