ভারতের অরিহন্ত দেখে উদ্বেগ ঢাকার চেষ্টা করেও প্রকাশ করে ফেলল পাকিস্তান
পরমাণু হামলায় পারদর্শী ডুবো জাহাজ অরিন্থনের সফল পরীক্ষার পর দেশের শত্রুদের সিংহগর্জন দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বলেছিলেন, পরমাণু হামলার নামে ব্ল্যাকমেল করলে সমুচিত জবাব দেওয়া যাবে।
অরিন্থনের সাফল্যের জেরে এখন জল, স্থল ও আকাশপথে পরমাণু হামলা চালাতে সক্ষম ভারত। আর তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক জানাল, দক্ষিণ এশিয়ায় পরমাণু হামলা প্রতিরোধে ইসলামবাদের সক্ষমতা নিয়ে কোনও সংশয় থাকা উচিত নয়।
তবে পাকিস্তান যে ভয় পেয়েছে, সেটা লুকোতে পারেনি তারা। পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জলের কথায়, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম তাত্ক্ষণিক পরমাণু হামলা চালানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ব্যাপারটি শুধুমাত্র ভারতীয় মহাসাগর লাগোয়া দেশগুলির জন্যই নয়, বরং আন্তর্জাতিক মহলের জন্যেও উদ্বেগের।
প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তা নিয়েও প্রতিক্রিয়া দিয়েছে পাকিস্তান। পাক মুখপাত্রের দাবি, ভারতের উচ্চ নেতৃত্ব যে ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তা দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত স্থায়িত্ব ভঙ্গ করতে পারে।
ভারতের ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে পাকিস্তান। তাদের বক্তব্য, অত্যাধিক ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করছে ভারত। তাদের আগ্রাসী মনোভাব। মোতায়েন করা হচ্ছে পরমাণু অস্ত্রও। ক্ষেপনাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ সংগঠনকে ভারতের সদস্যপদ নিয়ে বিবেচনা করতে হবে।
২০১৬ সালের অগস্টে নৌসেনায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল আইএনএস অরিহন্ত। এরপর ডেটারেন্স পেট্রোলে গিয়েছিল ডুবোজাহাজটি। ভারতীয় জলসীমার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছে সেটি। সমু্দ্রের তলা থেকে সফলভাবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম হয়েছে।
এটির সফল মহড়ার পর পরমাণু ত্রয়ী হাতে এল সেনার। অর্থাত্ এখন জল, স্থল ও আকাশ থেকে পরমাণু হামলা চালাতে সক্ষম হল ভারত। এখনও পর্যন্ত পরমাণু রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চিন ও ফ্রান্সের হাতে ত্রয়ী রয়েছে। সেই দলে যোগ দিল ভারত।
এরপরই প্রধানমন্ত্রী টুইটারে লিখেন,''প্রথম ডেটারেন্স পেট্রোল সফলভাবে সম্পন্ন করল আইএনএস অরিহন্ত। কর্মীদের সকলকে ধন্যবাদ। তাঁদের মনে রাখবে ইতিহাস। দেশের নিরাপত্তার পক্ষে এটি অত্যন্ত দরকারি ছিল''। মোদীর হুঁশিয়ারি, পরমাণু হামলা চালানোর যারা হুমকি দেয়, তাদের সমুচিত জবাব দিল আইএনএস অরিহন্ত। একইসঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন,''অহিংসা আমাদের দুর্বলতা নয়, এটা আমাদের শক্তি''।
পরমাণু হামলা চালাতে সক্ষম আরও একটি ডুবোজাহাজ আইএনএস অরিধমানের এখন ট্রায়াল চলছে। ২০১৯ সালে সেটি সেনায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারে।